প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন জেনে রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেছেন, তিনি বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন। ধন্যবাদ তাঁকে।’
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ৯০–এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ আলোচনার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ জনগণের যে দাবি, রাষ্ট্রপতি তাকে সম্মান করেছেন। আমরা খুব খুশি হয়েছি।’ ফখরুল বলেন, গতবারও রাষ্ট্রপতি আলাপ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, আলাপের পর আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হয় এবং তাদের নির্বাচিত নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওই কমিশনের অধীন বিগত সব কটি নির্বাচনে আমরা কী ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। সবচেয়ে ভয়াবহ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। ওই ইসি যোগ্যতার কারণে সে নির্বাচনে শতকরা পাঁচজন লোকও ভোট দিতে যায়নি।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু অতীতচারিতা করে, বিএনপিকে বকাবকি করে, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের আকুতিকে স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, দলটি হচ্ছে গণতন্ত্রবিরোধী দল। মুখে বলবে গণতন্ত্রের কথা, কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। নব্বইয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছিল, সেটা আওয়ামী লীগ নিয়ে নিয়েছে। গত সাত বছরে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মেরে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই বলে আহ্বান জানান, গণতন্ত্রকে আরেকবার ধ্বংস করবেন না। ধিক্কৃতদের খাতায় নাম লেখাবেন না। আমরা তো বেশি কিছু চাই না। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, যাতে সব দল অংশ নেবে, ভোটাররা তাঁদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমরা তো বলছি না, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।’
বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের নেতা খায়রুল কবির, হাবিবুর রহমান, নাজিমউদ্দিন আলম, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিন মণি, খন্দকার লুৎফুর রহমান প্রমুখ।