ক্রীড়া ডেস্ক : ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। শনিবার এ মাঠেই প্রথম অনুশীলন করল টিম বাংলাদেশ। তিন ঘন্টার বেশি সময় ধরে এখানে ঘাম ঝরিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। ১৫ জনের মূল দলের সবাই অনুশীলনে ছিলেন। ১৫ জনের বাইরে উদীয়মান নতুন যাদেরকে দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে উড়িয়ে আনা হয়েছে, তারাও ছিলেন অনুশীলনে। খুব স্বাভাবিক নেট প্র্যাকটিসে তাদেরকে নেয়া হয়নি।
অনুশীলনে সবার নজর ছিল মুস্তাফিজের দিকে। বাংলাদেশের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ শতভাগ ফিট কিনা, এ প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, ব্যাটিং পরামর্শক থিলান সামারাভিরা এবং খোদ মুস্তাফিজের কাছে প্রশ্নটি রাখা হয়েছিল। ওয়ালশ, সামারাভিরা এদের কেউ শতভাগ জোর দিয়ে বলতে চাননি যে মুস্তাফিজ শতভাগ ফিট। বলেছেন, ‘ও ভালো করছে, দিনে দিনে উন্নতি করছে, আশা করা যাচ্ছে এই সফরের মধ্যেই সে অনেক উন্নতি করে ফেলবে।’
আর মুস্তাফিজ কী বলেছেন? আইসিসির ২০১৬ সালের উদীয়মান ক্রিকেটারের নতুন সম্মান যোগ হয়েছে তার ঝুলিতে। এ প্রসঙ্গ তুলতে স্বভাবসুলভ লাজুক মুস্তাফিজ বলতে চাইলেন তার কাছে সবচেয়ে বড় হলো তিনি দলে ফিরে এসেছেন। সবার সঙ্গে আছেন, অনুশীলন করছেন, সবার সমর্থন পাচ্ছেন। তার অবস্থা আসলে কী, নিজেকে পুরোপুরি ফিট মনে হয় কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ বলেছেন, ‘তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো অনুভব করছেন। একটু সমস্যা হয়, তবে তা বিশেষ কিছু না। খুব তাড়াতাড়ি আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তার যে মূল অস্ত্র কাটার, তা তিনি এখন শতভাগ দিতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে, স্বীকার করেন তিনি এখন পুরোপুরি কাটার ডেলিভারির চেষ্টা করছেন না। একটু একটু করছেন। আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ কখনও স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনও ম্যাচ জেতেনি। এবার কি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জেতাতে তাকেই ভাবা হচ্ছে মূল অস্ত্র? এ প্রশ্নে লাজুক মুস্তাফিজ আরও লাজুক হন। জড়তা কাটিয়ে বলেন, ‘আমি তো একা দলকে জেতাতে পারব না। তবে পুরো দল আমাদের ভালো খেলছে। পুরো দল ভালো খেলেই আমরা জিততে পারি।’ মুস্তাফিজের ইচ্ছার পুরো বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে কিনা তা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে আগামী সোমবার পর্যন্ত।