প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো মধ্যে আধিপত্যের প্রতিযোগিতা করছে, প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করার চক্রান্ত করছে।এই সরকার এই দেশটাকে, এই রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণ বাসের অনুপযোগী করে গড়ে তুলেছে। রাষ্ট্রের সমস্ত যে স্তম্ভ, যে পিলার, সেই পিলারগুলোকে তারা শেষ করে ফেলেছে। রোববার রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের এক অনুষ্ঠানে সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত স্তম্ভ ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছে, যেটাকে বলা হয়- কে কার থেকে বড় সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে।”
শনিবার ঢাকায় জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতিটি সংস্থা অন্যান্য সংস্থার ওপর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। শুধু সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোই নয়, রাষ্ট্রের বিভাগগুলোও এ প্রতিযোগিতার বাইরে নেই। কেবলমাত্র বিচার বিভাগই এর ব্যতিক্রম।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এরা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে, পরিকল্পিতভাবে এই অনির্বাচিত অবৈধ সরকার এই কাজটি করছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করবার তারা চক্রান্ত করছে।”
তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার রাজনীতি থেকে তাদের দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাকে অবৈধভাবে কুক্ষিতগত করে রাখার জন্যে বিভিন্ন কলা-কৌশল করে বিরোধী দলকে নির্মূল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমাদেরকে এটা রুখে দিতে হবে।”
চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনমত গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের শিক্ষাখাতে ‘অব্যবস্থাপনার’ সমালোচনা করে সাবেক কলেজ শিক্ষক ফখরুল বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে ফেলেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে চায়, সেই এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে আপনার যে চিরাচরিত ব্যবস্থা যেটা মানুষ মেনে নিয়েছিল, যা দিয়ে আমাদের শিশুরা তৈরি হয়েছিল। সে সমস্তকে ধ্বংস করে দিয়ে তাদের মতো করে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।