আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে বিদেশি পর্যটকসহ ৩৯ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) । এক বিবৃতিতে আইএস বলেছে হামলাটি তাদের “একজন বীর সৈনিক” ঘটিয়েছে। বিবিসির দাবি অনুযায়ী আইএস-এর দেওয়া এক বিবৃতি তাদের হাতে এসেছে। বিবৃতিতে আইএস জানিয়েছে, তাদের ‘একজন বীর সৈনিক’ ওই হামলা চালিয়েছেন। তুরস্ক মুসলমানদের রক্ত ঝরাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
এদিকে জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট সাইট ইন্টিলিজেন্সও দাবি করেছে, হামলায় আইএস তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
রোববার নতুন বছরের প্রথম প্রহরে অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী শহরটির জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। পরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায়। হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ জন তুর্কি নাগরিক, বাকী ২৮ জন বিদেশি। এদের মধ্যে সৌদি আরবের সাতজন, ইরাকের চারজন, লেবাননের তিনজন এবং জর্দান, ভারত ও মরক্কোর ২ জন করে নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া সিরিয়া, ইসরায়েল, ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, বেলজিয়াম, কুয়েত, কানাডা ও রাশিয়ার একজন করে নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি গত বছর তুরস্কে অন্তত দুটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো তুরস্কজুড়ে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, “তারা আমাদের জনগণের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”
এর আগে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেয়মান সওলু জানিয়েছেন, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। আমরা আশা করছি, হামলাকারী শিগগিরই ধরা পড়বে।”