প্রতিবেদক : মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জে বেসরকারি খাতে চারটি নতুন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিচালনা পরিষদের সভায় এগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা কৃষি জমিতে যথেচ্ছা শিল্প স্থাপন করছে।
“প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন থেকে কৃষিজমি রক্ষা করতে শিল্প স্থাপনা একটি নির্ধারিত অঞ্চলে স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অপরিকল্পিত শিল্প-প্রতিষ্ঠান পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। এজন্য এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত অঞ্চলেই শিল্প স্থাপন করতে হবে। এসব অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে।”
বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের (অর্থনৈতিক অঞ্চলের কল্যাণ তহবিল গঠনের ও পরিচালনা) খসড়া নীতি, শুল্ক ব্যবস্থা ও বর্তমান বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের যথাযথ মূল্যে জমি প্রদানের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্ন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এবং বেসরকারি শিল্পের মালিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সভায় বেজার কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধাপে ধাপে ১০০টি এসইজেড স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) গঠনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩৫টি এসইজেড কাজ শুরু হয়েছে।