প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো জঙ্গি রাষ্ট্র নয়। জঙ্গি দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীও তার এখতিয়ারাধীন এলাকায় জঙ্গিবাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্ট গার্ড পূর্বজোনে দুটি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনবলের সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও কর্মদক্ষতায় উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ড একটি আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দেশের সমুদ্রবন্দর ও বহির্নোঙ্গর এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজের অব্যাহত নিরাপত্তা প্রদানে কোস্ট গার্ডের কর্মতৎপরতা বর্হিবিশ্বে সমাদৃত। এ কারণেই চট্টগ্রাম বন্দর আন্তজার্তিক মেরিটাইম ব্যুরোর বিবেচনায় নিরাপদ বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। চোরাচালান ও অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধ কার্যক্রমে কোস্ট গার্ডের বার্ষিক সাফল্য আর্থিক মানদণ্ডে হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে অবতরণ করে। এরপর বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামলা উদ্দিন আহমেদ, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, কোস্ট গার্ডের পূর্বজোনের জোনাল কামান্ডার ক্যাপ্টেন মাজেদুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বগত জানান। এসময় কোস্ট গার্ডের একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজ সিজিএস সৈয়দ নজরুলের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম সালেহ উদ্দিন ও সিজিএস তাজউদ্দিন আহমেদের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম হাসান তারিক মন্ডলের হাতে জাহাজ দুটির কমিশনিং ফরমান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্ট গার্ড বহরে কার্যক্রম শুরু করলো জাহাজ দুটি।
জাহাজ দুটি ৮৭ মিটার লম্বা, সাড়ে ১০ ফুট চওড়া ও ১৩’শ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে সাড়ে তিন হাজার ফিট নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে পারে জাহাজ দুটি। ইতালি থেকে আনা জাহাজ দুটি ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে।