প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ ১৬ র্যাব সদস্যের মৃত্যুদণ্ড এবং নয়জনের কারাদণ্ডের সাজা হলেও তাতে বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি মনে করেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা করে র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
২০০৪ সালে পুলিশের বিশেষ ইউনিট হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা শুনতে হচ্ছে র্যাবকে।
এরপর ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে খুন করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ায় র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে দেশজুড়ে তোলপাড় হয়।
ওই হত্যামামলার রায়ে সোমবার নারায়ণগঞ্জের আদালত র্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, দুই ক্যাম্প কমান্ডার আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ বাহিনীর ২৫ সদস্যকে সাজা দেয়।
মামলার প্রধান আসামি সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থের বিনিময়ে র্যাবকে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
আলোচিত মামলার রায়ের পর সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এ রায়ে প্রমাণ হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
খুনে র্যাবের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় তা বাহিনীর ভাবমূর্তির উপর কী প্রভাব ফেলবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাহিনী হিসাবে এ ঘটনায় র্যাব দায়ী নয়, কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।