প্রতিবেদক : গ্রামীণের নামে গড়া মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ‘অবৈধভাবে’ কর সুবিধা নিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “ইটস আ ভেরি ডিফিক্যাল্ট ইস্যু…। প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণের নামে সব প্রতিষ্ঠানে কি নিয়েছেন? ট্যাক্স বেনিফিট নিয়েছেন, ইট ইজ ইলিগ্যাল। এটা ইজ বিং ইনভেস্টিগেইটেড, দ্যাটস অল।”
নোবেলবিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এই এমডির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘কর না দেওয়ার’ প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার পরদিন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে গ্রামীণফোন নিয়ে কথা বলার সময় নোবেলজয়ী ইউনূসকে ‘চিটিংবাজ’ আখ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউনূস মামলা করে তার স্থায়ী আমানতের কর দিচ্ছেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তার টাকা আছে প্রচুর। ট্যাক্স দেন না। মামলা করে রেখে দিয়েছেন। ট্যাক্স না দিয়ে ভালোই চলছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংক সুদমুক্ত; এটা সত্য। কিন্তু তার পাশাপাশি ৪০-৫০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো তো সুদমুক্ত নয়। সেইগুলোর ট্যাক্স কেন সরকারকে দেবে না? সেই রিপোর্টও এনবিআরের কাছে আছে।”
পাশে থাকা আবুল মাল আবদুল মুহিতের দিকে তাকিয়ে শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, “এখানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আছেন। এটা তার দায়িত্ব। তিনি এটা দেখবেন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। আমি বলতে গেলে শুরু হবে নানা কথা।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে মুহিতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক।
ইউনূসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর আদায়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে সংক্ষেপে ওই বক্তব্য দেন মুহিত।
নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থ এক তহবিল থেকে অন্যটিতে সরানোর অভিযোগ ওঠার পর ২০১১ সালে অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াইয়ে গেলেও তাতে হেরে যান ইউনূস।