প্রতিবেদক : ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম বা এপিবিএফ-২০১৭। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনকে কেন্দ্র করে এবারের এপিবিএফের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়ন অর্জনে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা’।
আসছে ফেব্রুয়ারি ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ) যৌথভাবে এপিবিএফ-২০১৭ আয়োজন করছে। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় ফোরামের উদ্বোধন করবেন। পরদিন ‘সফলভাবে এসডিজি অর্জনের জন্য ব্যবসা ও বিনিয়োগের প্রসার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি সেমিনার হবে।
রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাশেম খান, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ও আইসিসি বাংলাদেশের মহাসচিব আতাউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাউচান থাকালি, শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদ্দিন, ভুটানের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী লিওনপো লিকে দরজি, মালদ্বীপের অর্থনীতি উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মদ সাঈদ, আঙ্কটাডের মহাসচিব মুখিসা কিটুই, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
আঞ্চলিক বাণিজ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সংলাপের শ্রেষ্ঠ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এপিবিএফ। ইউএনএসকাপের আয়োজনে এপিবিএফে মূলত অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবসায়ের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। ২০০৪ সালে চীনের সাংহাইয়ে এপিবিএফ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। তারপর ব্যাংকক, কলম্বো, জাকার্তা, কুয়ালালামপুর, কুংমিনের মতো শহরে ফোরাম আয়োজিত হয়।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ ভালো সাফল্য দেখিয়েছে। ২০১৫ সালের আগেই কয়েকটি লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল। আমাদের প্রত্যাশা, এসডিজি অর্জনেও ভালো করবে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো একে অন্যকে যদি এসডিজির গোল অর্জনে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা যায়, তবে অনেক বেশি কাজে দেবে। এপিবিএফের মাধ্যমে এই কাজটি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফজলুল হক বলেন, ‘ফোরামে এসডিজি অর্জনের বিষয়ে বিভিন্ন দেশ নিজেদের পরিকল্পনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের শুরুর দিকে আছি আমরা। ফলে এই মতবিনিময় দারুণ কাজে দেবে।’