আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা পাওয়া শরণার্থী ও অভিবাসীদের নিজ দেশে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাতটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় শরণার্থীদের কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্য কানাডার দরজা খোলা।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর টুইটের বরাত দিয়ে আজ রোববার এএফপির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
টুইটে টুড্রো বলেন, ‘বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি। নিপীড়ন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধের কারণে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের কানাডার মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে।’ তিনি এ জন্য হ্যাশট্যাগ ওয়েলকামটু কানাডা চালু করেন।
গত শুক্রবার নির্বাহী আদেশ জারি করে শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাতটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলার পর কানাডার কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার বলেন, যাঁদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, তাঁরা ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না। ট্রুডোর মুখপাত্র কেট পারচেজ বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত করছি যে কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’
নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। এর মধ্যে সিরিয়া বাদে বাকি ছয় দেশের ক্ষেত্রে আগামী ৯০ দিন কোনো ভিসা দেওয়া হবে না। সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’। এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ইরাক থেকে আগত দুজন ইরাকি শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের দুজনের কাছেই বৈধ ভিসা ছিল।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কয়েকটি বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত একাধিক শরণার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা ইরান, ইরাক ও ইয়েমেনের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রমুখী বিমানে উঠতে না দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের ভিসাধারীদের বিমানবন্দরে আটকে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছেন আদালত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-বিষয়ক নির্বাহী আদেশে এসব দেশের নাগরিক বা অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।