প্রতিবেদক : গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে আশাবাদী না হলেও তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিইসি নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নামের প্রস্তাব পাঠাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দলগুলো। সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরন সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানোর ব্যাপারে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা নাম পাঠাচ্ছি। কার কী নাম কখন কীভাবে যাবে, তার সিদ্ধান্ত হবে আজকে রাতে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছয়টি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছিল। সব দল আলাদাভাবে সার্চ কমিটির কাছে ইসি গঠনে নাম প্রস্তাব করবে।
এই দলগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামা-ই ইসলাম।
ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন সউদ, ইসলামী ঐ্ক্যজোটের আবদুল করীম খান, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামা-ই ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, জাগপার খন্দকার আসাদুর রহমান খান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, এনিডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠকের পর ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
সার্চ কমিটি নাম চাওয়ার পর রোববার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠক সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মুলতবি হয়েছে।
বৈঠক শেষ হলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে রোববার রাতে ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতি গঠিত এই সার্চ কমিটি নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। সার্চ কমিটির ছয় সদস্যের পাঁচজনেরই নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তাদের।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলছেন, বিদায়ী কমিশনের মতোই আরেকটি ইসি গঠনের পাঁয়তালা চলছে।