প্রতিবেদক : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্রে কেবল কেন্দ্র সচিবদের ফোন নিয়ে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও এবার সেই ফোনটি স্মার্ট ফোন হতে পারবে না । এছাড়া কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার্থীর বাইরে অন্য কেউ কেন্দ্রের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অরো বলেন “আজকাল টেলিফোন নিয়ে গেলে ফটো তুলে সেই ছবি বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। সেজন্য আমরা বলেছি শুধু কেন্দ্র সচিব জরুরি যোগাযোগের প্রয়োজনে ফোন নিতে পারবেন। এর বাইরে কেউ ফোন নিতে পারবেন না।
“যেটা দিয়ে ফটো তোলা যায় না ওই ধরনের ফোন নিয়ে যাবেন। কারণ তার (কেন্দ্র সচিব) কাজই হল ইনফরমেশন আদান-প্রদান করা। আমাদের জানানো যে এই হচ্ছে আর এই হচ্ছে না।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা এটা স্ট্রিকলি বলে দিচ্ছি- কোনো টিচার কোনো টেলিফোন পরীক্ষাকেন্দ্রে নিতে পারবেন না। পরীক্ষাকেন্দ্রে একটাই ফোন নিতে পারবেন কেন্দ্র সচিব। সেটি তিনি তার অফিস কক্ষে রাখবেন এবং সেটা স্মার্ট ফোন না, সেটা হবে সাধারণ ফোন।”
বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত কেন্দ্র সচিবদের সভায় স্মার্ট ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে না যাওয়ার বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “এটা আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। এটা করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“যদি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে যান অথবা যেগুলো অ্যালাও করা আছে যেমন কিছু ক্যালকুলেটর- ওগুলো ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস নিয়ে যান, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আবেদন জানাচ্ছি দয়া করে কোনো শিক্ষক পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে যাবেন না।”
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে একেযোগে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে অংশ নেবেন ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী।
এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ‘সুযোগ নেই’ দাবি করে নাহিদ বলেন, কেউ ফেসইবুকে ভুয়া প্রশ্ন তুলে দিলে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে সেই লিংক বন্ধ করে দেবে।
মন্ত্রীর ভাষ্য, প্রশ্ন ফাঁস করা হয় সরকারকে ‘হেয় করার’ জন্য; আবার অনেকে ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে’ প্রশ্ন ফাঁস করে ‘বিক্রি করে’। ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে।
সবার উদ্দেশে নাহিদ বলেন, “যেখানেই এটা হোক (প্রশ্ন ফাঁস) কন্ট্রোল রুমে জানাবেন, কন্ট্রোল রুমকে জানালে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে লিংক বন্ধ করে দেবে। বিটিআরসির সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি।”
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, “দয়া করে মিথ্য ফাঁস করা প্রশ্নের পেছনে ছুটবেন না। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”