আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার কুইবেক সিটিতে একটি মসজিদে ঢুকে গুলি করে ছয় মুসলিমকে হত্যায় ফরাসি বংশোদ্ভুত এক কানাডীয় ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। আলেকসন্দ বিশোনেত নামের ওই ছাত্র প্রথম শ্রেণির ছয়টি খুনের ও পাঁচটি খুনের চেষ্টার অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার ২৭ বছর বয়সী বিশোনেতকে মসজিদে হামলার ঘটনায় কুইবেক সিটি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা রঙয়ের কারা পোশাক এবং তার হাতে পায়ে শিকল পরানো ছিল।
রোববার এশার নামাজের সময় কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের মসজিদে হামলার ওই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সময় রাত ৮টার একটু আগে গুলিবর্ষণের সময় মসজিদে প্রায় ৫০ জন লোক ছিল। এদের মধ্যে ছয়জন নিহত ও ১৯ জন আহত হন।
আহত পাঁচজন এখনো হাসপাতালে আছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
হামলার পর মরোক্কান বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ কাদির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে এখন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
কুইবেক প্রাদেশিক পুলিশ নিহত ছয়জনের নাম, পরিচয় প্রকাশ করেছে।
তারা হলেন, তিন সন্তানের পিতা আজেদ্দিন সুফিয়ান (৫৭), মুদি দোকানি ও কসাই; খালেদ বেলকাসেমি (৬০), লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক; তিন সন্তানের পিতা আব্দেল করিম হাসান (৪১), সরকারের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী; আবু বকর থাবতি (৪৪) এবং গিনির দুই নাগরিক, মামাদু তানৌ (৪২) এবং ইব্রাহিম ব্যারি (৩৯) ।
কুইবেক সিটি থেকে ইলে ডি’অর্লিয়েন্স দিকে যাওয়ার পথে একটি সেতু থেকে সন্দেহভাজন বিশোনেতকে তার গাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখানে পুলিশ ডেকে তিনি জানান, মসজিদে গুলির্বষণ করে খুনের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশোনেত লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স ও নৃবিজ্ঞানের ছাত্র। ঘটনাস্থল মসজিদটি থেকে তার ক্যাম্পাস প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা ম্যারি লা পেনের পেইজে ‘লাইক’ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তার ডানপন্থি দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য বিশোনেত পরিচিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থীদের পক্ষে কাজ করা একটি গোষ্ঠীর এক কর্মকর্তা।