প্রতিবেদক : বৃহস্পতিবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে অংশ নিয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী। তিন হাজারের বেশি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে প্রথম দিনের পরীক্ষা।
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) আর দাখিল ভোকেশনালে নতুন সিলেবাসে বাংলা-২ (১৭২১) সৃজনশীল ও পুরাতন সিলেবাসে বাংলা-২ (১৭২১) সৃজনশীল বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি ল্যাবরেটরি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন অংশ নিয়েছিল। এই হিসেবে মাধ্যমিকে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন।
>> এবার তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত। ৪ থেকে ১১ মার্চ হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
>> ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
>> এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৪ হাজার ২১২ জন পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে।
>> পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র; ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী।
>> বিদেশের আটটি কেন্দ্রে বসে এসএসসি দিচ্ছে ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৬১ জন ছাত্রী, ১৮৫ জন ছাত্র।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কেবল কেন্দ্র সচিবদের ফোন নিয়ে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও এবার সেই ফোনটি স্মার্ট ফোন হতে পারবে না।
কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার্থীর বাইরে অন্য কেউ কেন্দ্রের সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে।
এসএসসিতে এবার থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে এবং শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।
এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ‘সুযোগ নেই’ দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ দুদিন আগে বলেছেন, কেউ ফেসইবুকে ভুয়া প্রশ্ন তুলে দিলে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে সেই লিংক বন্ধ করে দেবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যেখানেই এটা হোক (প্রশ্ন ফাঁস) কন্ট্রোল রুমে জানাবেন, কন্ট্রোল রুমকে জানালে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে লিংক বন্ধ করে দেবে। বিটিআরসির সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি।”
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, “দয়া করে মিথ্য ফাঁস করা প্রশ্নের পেছনে ছুটবেন না। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”