প্রতিবেদক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে দশ জনের নাম চূড়ান্ত করার পর রাষ্ট্রপতির হাতে সেই তালিকা তুলে দিয়েছে সার্চ কমিটি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারা বঙ্গভবনে যান এবং রাষ্ট্রপতির হাতে নামের তালিকা ও প্রতিবেদন তুলে দেন।
এর অাগে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈঠক করে সার্চ কমিটি।
দশজনের ওই তালিকায় কাদের নাম আছে, সে বিষয়ে বাতাসে ঘুরছে নানা গুঞ্জন। তবে বঙ্গভবন বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তরফ থেকে কোনো নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বঙ্গভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রাত ৯টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই বিভাগ সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।
জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির বৈঠকের পর অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না।
রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া নাম থেকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি। তবে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্তে নেবেন রাষ্ট্রপতি। সোমবার সন্ধ্যায় অনুসন্ধান কমিটির সর্বশেষ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুসন্ধান কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত হওয়া ১০ জনের নাম কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না—এর জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। রাষ্ট্রপতি নাম প্রকাশ করার আগে অনুসন্ধান কমিটি নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকেরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার আলোকেই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজ বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়।
২৫ জানুয়ারি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর ছয়টি বৈঠক হয়েছে। এর মধ্যে দুই দিন বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। আর রাজনৈতিক দল থেকে নাম পাওয়ার পর অনুসন্ধান কমিটি দুটি বৈঠক করে। বিশিষ্ট নাগরিকেরা দলনিরপেক্ষ, সাহসী, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করার সুপারিশ করেছেন। তাঁদের মত হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন হতে হবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে, মেরুদণ্ড হতে হবে সোজা। যাতে চাপ কিংবা হুমকির মুখেও প্রভাবমুক্ত হয়ে তাঁরা কাজ করতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে গত ২৫ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নারীসহ ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও অন্য তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কমিশনার শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।