প্রতিবেদক : পুরুষদের জন্য নতুন একটি কন্ট্রাসেপটিভ ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা টানা দু’বছর কার্যকরভাবে জন্মনিরোধ করবে। গত এক শতাব্দীতে এটি এক নতুন আবিষ্কার। প্রায় শতবছর ধরে পুরুষদের কন্ট্রাসেপটিভ হিসেবে কনডমেরই ব্যবহার চলে আসছে। আর যারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে পারছেন তাদের জন্য ব্যবস্থা ভ্যাসেকটমির। নারীদের জন্য নানা ধরনের বড়িসহ অন্য ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হলেও পুরুষের জন্য তেমন কিছুই ছিলো না।
কিন্তু নতুন আবিষ্কৃত এ ইনজেকশন একবার গ্রহণ করলে পুরুষের শরীর থেকে বির্যনির্গমন বন্ধ থাকবে। প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ আবিষ্কারকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন।
এর আগে পুরুষের জন্য অবশ্য আরেকটি ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়েছিলো, তাতে মস্তিষ্কে হরমোন সৃষ্টি প্রতিরোধ সম্ভব হয়। কিন্তু সে ব্যবস্থায় ভীষণ অবসাদগ্রস্ততা, পেশীতে ব্যাথাসহ নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতো। কিন্তু নতুন এ ব্যবস্থায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই থাকবে না বলে মত চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের।
এটি নন-হরমোনাল ইনজেকশন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যার সাফল্যের হার শতভাগ। বানরের ওপর এই ইনজেকশনের প্রয়োগ করেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা।
পুরুষের জন্য কন্ট্রাসেপটিভ পিল আবিষ্কার/ছবি: সংগৃহীতএ পদ্ধতিতে বির্যপরিবহনকারী অণ্ডকোষ থেকে মুত্রনালীর মাঝের শিরায় একটি বিশেষ জেল ইনজেক্ট করা হয়, যা একবার প্রয়োগ করলে প্রায় দু’বছর ধরে বির্যের পথ রোধ করে রাখে।
যুক্তরাজ্যের প্রজনন স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, আগামী বছর নাগাদ তারা পুরুষদের দেহে এই জেল প্রয়োগ শুরু করবেন। এরই মধ্যে তারা ১৬টি পুরুষ বানরকে জেলটি দিয়ে দেখেছেন দুই বছরেও সেগুলোর কারণে কোনো নারী বানরকে গর্ভবতী হয়নি।
আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিষয়টি যদি পুরোপুরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হয় তাহলে পুরুষ জন্মনিরোধক তৈরির যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন তার সুফল মিলবে।