1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিচার শেষ না হওয়া ২০ বন্দির জামিন কেন নয় : হাইকোর্ট

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ২০৭ বার

প্রতিবেদক : বিচার শেষ না হওয়া পৃথক ফৌজদারী মামলায় কারাবন্দি ২০ জনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।  মঙ্গলবার হাই কোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি ছাড়াও মামলার নথি তলব করেছে।

কারাবন্দি ২০ জনের মধ্যে ১০ জনকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, পাঁচজনকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও অপর পাঁচজনকে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট ও খুলনা বিভাগে ১০ বন্দি

সিলেট ও খুলনা বিভাগে সর্বনিম্ন ১০ বছর ও সর্বোচ্চ ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে ১০ বন্দী কারাগারে থাকার বিষয়টি সোমবার আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি।

শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এইচ মো. নূরুল হুদা জায়গীরদারের বেঞ্চ রুল দেয়। একই সঙ্গে ১০ জনকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়।

এই ১০ জন হলেন,

কমলগঞ্জের মুয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনের ছেলে ফরুখ হোসেন ১১ বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৫ সালে কেতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। সিলেট দায়রা জজ বিশেষ আদালতে তাকে ১৩১ বার হাজির করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোনামুড়া গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে সেলিম মিয়া ১১ বছর ৬ মাস ধরে কারাবন্দি। ২০০৫ সালে দক্ষিণ সুরমা থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে সিলেট অতিরিক্তি দায়রা জজ আদালতে ১২২ বার হাজির করা হয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট বেগমখালের বাসিন্দা মৃত পাণ্ডে জগন্নাথের ছেলে রাজু জগন্নাথ ১৩ বছর ৭ মাস ধরে কারাবন্দি। ২০০৩ সালে রাজুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। তাকে এখন পর্যন্ত ১১২ বার বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।

তাহিরপুর কাউকান্দি গ্রামের উস্তার গনির ছেলে বশির উদ্দিন (৫৩) ১৩ বছর ধরে হত্যা মামলায় কারাবন্দি। ২০০৩ সালে তাহিরপুর থানার মামলায় তাকে ৮১ বার সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।

জামালপুর জেলার চর চড়সী গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে ইসমাইল ১১ বছর ধরে কারাগারে বন্দি। তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়।

সাতক্ষীরা পশ্চিমপাড়ার ইটাগাছা থানার বাসিন্দা মৃত কেরামত আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মুন্না ১১ বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৫ সালে তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়।

সাতক্ষীরার ইসলামপুরের দলিল উদ্দিনের ছেলে নাসিরুদ্দিন ১১ বছর ধরে সাতক্ষীরার জেলা কারাগারে বন্দি। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২০০৫ সালে মামলা হয়।

সাতক্ষীরার ওমর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন ১১ বছর ধরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১১ বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৫ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শিবনগরের বাসিন্দা ফয়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে হায়দার আলী (৬২) ১৮ বছর ধরে কারাবন্দি। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। তাকে ৯৯ বার আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়ার মধ্য সোনাখালীর বাসিন্দা আব্দুল হাকিম রাজার ছেলে রফিকুল ইসলাম রাজা (৩২) ১৮ বছর ধরে পিরোজপুর জেলা কারাগারে বন্দি। তার ২০০৬ সালে একটি হত্যা মামলা হয়। এ পর্যন্ত তাকে ৪২ বার আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের ১০ বন্দীর বিষয়টি সোমবার হাই কোর্টের অপর একটি বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী আনিস উল মাওয়া।

শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাই কোর্ট বেঞ্চ ১০ জনের জামিনে রুল দেয়।

এই ১০ কারাবন্দি হলেন-

মুক্তাগাছার নটাকুড়ি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩১) ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০৪ সালে তার বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মোট ১৩২ বার তাকে হাজির করা হয়েছে।

ত্রিশাল নওপাড়া গ্রামের নুরুদ্দিনের ছেলে সিরাজ (৫৩) ১১ বছর ধরে ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ২০০৫ সালে ত্রিশাল থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। তাকে মোট ৭৭ বার ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

গফরগাঁওয়ের কুকসাইর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলম মিয়া (৩৫) ১০ বছর ধরে ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি। ২০০৬ সালে গফরগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। তাকে এ পর্যন্ত ৭৮ বার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার বখতিয়ারপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মতিউর (২৫) হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ বছর ধরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ২০০৬ সালে বাঘমারা থানার মামলায় তাকে আদালতে ১২৮ বার হাজির করা হয়েছে।

বাঘা থারার তেতুলিয়া মাউথ পাড়া গ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে ফয়েন উদ্দিন (৩৫) ১০ বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৬ সালে বাঘা থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। এ কারাবন্দিকে ১১৫ বার দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আতাইকুলা পুষ্পপাড়ার বাসিন্দা মৃত আরজ আলীর ছেলে কাইলা কালাম (৪২) ১২ বছর ধরে এক মামলায় পাবনা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

নাটোরের সিংড়া থানার মুনারপাড়া নমিরুদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল খালেক হত্যা মামলায় ১১ বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৫ সালে সিংড়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। তাকে ১৩৪ বার নাটোর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বাঘারপাড়া আলাদিপুরের বাসিন্দা কাঙ্গালী দাসের ছেলে অপূর্ব দাস (২৯) ১১ বছর ধরে কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অপূর্বকে ২৬ বার আদালতে হাজির করা হয়।

রূপসার সিরিরামপুরের বাসিন্দা হোসেন আলী শেখের ছেলে মো. তৈয়ব শেখ (৫৭) ১৩ বছর ধরে কারাবন্দি।

চিরজপুর থানার কলাখালীর বাসিন্দা মৃত লতিফের ছেলে মো. সুমন ওরফে নুরুজ্জামান ১২ বছর ধরে তিনটি পৃথক মামলায় ১২ বছর ধরে কারাবন্দি। তাকে একাধিকবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog