আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বন্দুকধারীদের গুলিতে জরুরি ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত ছয় কর্মী নিহত হওয়ার পর আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করেছে রেডক্রস। ভয়াবহ তুষারঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলীয় জওজান প্রদেশের দুর্গতদের জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে যাওয়ার সময় বুধবার ভোররাতে ওই কর্মীদের হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।
সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বন্দুকধারীরা রেডক্রসের ত্রাণবহরে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাওজানের গভর্নর লুৎফুল্লাহ আজিজি। “ওই এলাকাগুলোতে দায়েশের তৎপরতা খুব বেশি,” আইএসের বিকল্প নাম ব্যবহার করে বলেছেন তিনি।
রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান পিটার মাউরার এই ঘটনাকে গত ২০ বছরের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে প্রাণঘাতী’ হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। তবে এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী রেডক্রস তা জানে না বলে জানিয়েছেন।
“এই কর্মীরা শুধুমাত্র তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন, স্বার্থহীনভাবে স্থানীয় লোকজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করছিলেন,” বলেন তিনি।
রেডক্রসের কার্যক্রম পরিচালক ডমিনিক স্টিলহার্ট জেনেভা থেকে বলেছেন, “সত্যিই আমাদের ক্রার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, কারণ আমাদের কার্যক্রম আবার শুরু করার আগে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা আমাদের বোঝা দরকার।”
বিশ্বে রেডক্রসের চতুর্থ বৃহত্তম মানবিক ত্রাণ কর্মসূচী আফগানিস্তানে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ভোররাতের ওই হামলার পর থেকে রেডক্রসের আরো দুই কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
শনি ও রোববার ব্যাপক তুষারঝড়ে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই মিটারের মতো তুষার জমে যায়। তুষারঝড় ও তুষারধসে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানান দেশটির কর্মকর্তারা।
এই তুষারঝড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর জন্য রেডক্রসের ত্রাণকর্মীরা গৃহপালিত পশু নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে গভর্নর আজিজি।
রেডক্রসের ত্রাণকর্মীদের ওই দলটিতে তিন জন গাড়ি চালক ও পাঁচ জন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন।