প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানিতে উৎপাদনকর্মী পদে চাকরি পেলেন সিরাজগঞ্জে নিহত সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন। সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর-এনায়েতপুর) আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন বুধবার এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে গিয়ে নুরুন্নাহারের নিয়োগপত্র নেন।
শুক্রবার এটি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন।
“রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইডিসিএল কার্যালয়ে নুরুন্নাহারের নিয়োগপত্র সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি শুক্রবার তা পৌঁছে দেবেন।”
এদিকে সিরাজগঞ্জে থাকা নুরুন্নাহার লোকমুখে শুনলেও নিয়োগের ব্যাপারে তাকে কেউ কিছু বলেনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শুনেছি বগুড়ায় চাকরি হয়েছে। আগামী ১ তারিখ চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা। তবে এমপি সাব এখনও বিষয়টি আমাদের জানাননি। তাই অপেক্ষা করতেছি।”
গত সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম শিমুলের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে বগুড়ার সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিতে নির্দেশ দেন।
শিমুল ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছেলে শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে আর মেয়ে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনে নার্সারিতে পড়ে। নানির রেখে যাওয়া টিনের ঘর ছাড়া শিমুলের আর কোনো সম্পদ নেই।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নাসিম এ সময় শিমুলের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকাও দেন।
শিমুলের খালাত ভাই হারুন অর রশিদ হারুন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় অনেকেই শিমুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে শাহজাদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। শিমুলের ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
“জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিমুলের সংসারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক দিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। সমকাল পত্রিকার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা,” বলেন হারুন।