আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন খারিজের পর ‘নতুন’ নির্বাহী আদেশ জারির কথা ভাবছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফেডারেল কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে আপাতত তারা কোনো পরিকল্পনা করছেন না তারা।
এর আগে নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্ট বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে নিম্ন আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখার আদেশের কথা জানায়। ওই আদেশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাৎক্ষণিক এক টুইটে তিনি লেখেন: এর সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত এবং বিষয়টি তিনি আদালতেই দেখবেন।
আদালতের ওই আদেশকে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা্য়িত করে শেষ রায় পক্ষে যাবে বলেও আশার কথা শুনিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তবে শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনের পথে থাকা এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝটিকা সাক্ষাতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সুর ছিল খানিকটা ভিন্ন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি একটি নতুন নির্বাহী আদেশের কথা ভাবছেন, যা সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে জারি করা হতে পারে।
হোয়াইট হাউজও অবশ্য পৃথকভাবে বলেছে: “আমরা সক্রিয়ভাবেই পুরনো আদেশে পরিবর্তন অথবা নতুন আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারির পরিকল্পনা করছি, যেটি আমাদের দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত রাখবে।”
“অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশটি আমরা সুপ্রিম কোর্টে না নিয়ে বিচার ব্যবস্থায় আর কি কি বিকল্প রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছি।”
যুক্তরাষ্ট্র সরকার সার্কিট কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানেই নির্ধারিত হওয়ার কথা গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশের ভাগ্যো।
অবশ্য তার আগেই দৃশ্যত অবস্থান থেকে সরে এলো হোয়াইট হাউজ।
আর তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টে গেলেও ডেমোক্রেট আমলে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারকদের নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ট্রাম্পের মধ্যে।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আট বিচারকের মধ্যে চারজন নিয়োগ পেয়েছেন রিপাবলিকানদের আমলে, আর বাকি চারজন ডেমোক্রেট সরকারের নিয়োগ পাওয়া।