প্রতিবেদক : নিউজিল্যান্ডের সৈকতে তিমির ভেসে আসা ঠেকাতে স্বেচ্ছাসেবীদের মানবপ্রাচীরও কাজে আসেনি। নতুন করে ভেসে এসেছে আরও ২৪০টি তিমি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভেসে আসা ৪০০ টি তিমির মধ্যে ৩০০ টির মতো মারা গেছে। বাকি ১০০ টির তিমিকে আবার পানিতে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের গোল্ডেন বে সমুদ্র সৈকতে এক সঙ্গে প্রায় ৪০০ তিমি আটকে যায় গত বৃহস্পতিবার । এর মধ্যে ৩ শতাধিক তিমি মারা যায়। নতুন করে আরও ২৪০ টি তিমি ভেসে এসে আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে তিমি আটকে যাওয়ার সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত এটি। শত শত স্বেচ্ছাসেবী সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় লোকজন তিমিগুলোকে পানি ঢেলে ঠান্ডা করে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নতুন করে যে তিমিগুলো আটকে গেছে সেগুলো আবার বড় ঢেউ এলে সমুদ্রে ফেরানো সম্ভব বলে আশা করছেন তাঁরা।
গ্লোডেন বের পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সৈকতে কেন তিমি এভাবে আটকে যাচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।
কয়েকটি মৃত তিমির গায়ে হাঙরের কামড়ের দাগ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, হাঙরের তাড়া খেয়ে এগুলো ডাঙায় চলে এসেছে।
নিউজিল্যান্ডের সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা হার্ব ক্রিস্টোফারস বিবিসিকে বলেছেন, তিমিগুলো সাউথ আইল্যান্ড ঘুরে যেতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের দিকনির্ণয় ভুল হয়ে যাওয়ায় সৈকতে এসে পড়েছে। কম পানিতে তিমির ইকোলোকেশন ঠিকমতো কাজ করেনা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেক সময় একটি তিমি আটকে পড়লে সেখান থেকে সংকেত পেয়ে আরও তিমি এসে আটকে পড়ে। আবার বয়স হয়ে গেলে অসুস্থ বা দুর্বল তিমিও সৈকতে এসে আটকে যায়।
সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু লামাসন বলেন, নতুন করে ভেসে আসা তিমিগুলো নতুন আরেকটি দলের। ফেরত পাঠানো তিমিগুলোর গায়ে ট্যাগ লাগানো হয়েছে। ২০ টি তিমির অবস্থা খারাপ হওয়ার কর্মীরা তা মেরে ফেলেছেন। বিবিসি