1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha :
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

পদ্মায় দুর্নীতির প্রমাণ না হওয়ায় দেশের ভাবমূর্তি ভালো হয়েছে : মন্ত্রিসভায় আলোচনা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১৩৩ বার

প্রতিবেদক :  পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের তোলা অভিযোগ কানাডার আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে কথা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলাম।

“বর্তমান সরকারের অবস্থান ছিল পদ্ম সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যদি তারা দুর্নীতির কথা বলে তবে তাদেরকেই তা প্রমাণ করতে হবে এবং তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

“এই ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে, সেজন্য মন্ত্রিসভা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে।”

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত শুক্রবার ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়।

রায় উদ্ধৃত করে কানাডিয়ান পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল বলেছে, ফোনে আড়ি পেতে সংগ্রহ করা যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রসিকিউশন মামলা সাজিয়েছিল তাকে ‘গাল-গল্প ও গুজব’ বলে ছুড়ে ফেলেছেন বিচারক।

এর আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও জানিয়েছিল, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পে প্রতিশ্রুত অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নিজস্ব অর্থায়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

শফিউল আলম বলেন, কানাডার আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় সবাই ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইতোমধ্যে পদ্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিশ্ব ব‌্যাংককে মাফ চাইতে বলেছেন। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও কেউ কেউ তুলেছেন। এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “না, সেখানে শুধু আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

“সেখানে বলা হয়েছে, এডিবির একটা স্টাডি হচ্ছে- পদ্মা সেতু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন (জিডিপি) ৭ দশমিক ১ শতাংশের আশেপাশেই থাকে। যদি পদ্মা সেতু আরও আগে হত তাহলে প্রতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ করে ৮-৯ শতাংশ গ্রোথ হত, এটা থেমে গেছে।”

বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে না গেলে অনেক আগেই এ সেতু হত মন্তব‌্য করে শফিউল বলেন, “২০১৪ নাগাদ হয়ত পদ্মা সেতুর বড় অবয়ব দেখতে পেতাম, এতদিনে ব্রিজটি বাস্তবে পেয়ে যেতাম। কিন্তু ওই স্ক্যান্ডালের কারণে উন্নয়নটা অনেক পিছিয়ে গেছে।

“২০১৬ সালে আমরা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যেতে পারতাম, সেটা পিছিয়ে গেছে; সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে।”

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পুরনো অবস্থানটাই…. যে, উনার চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্ব ব্যাংক যেহেতু অভিযোগ তুলেছে, তাদেরই প্রমাণ করতে হবে যে আমরা দুর্নীতি করেছি। আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি।

“বিশ্ব ব্যাংক প্রমাণ দিতে পারেনি। কানাডার আদালতের রায়েই প্রমাণ হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।”

বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে শফিউল বলেন, “সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। … ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে করতে পারেন, সেটা উনাদের বিষয়।”

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Mohajog