প্রতিবেদক: পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন না করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে একনেকের বৈঠকে ইঙ্গিতে ইউনূসকে দায়ী করলেও প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তার নাম বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজের গতি কমেছে।’
একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করছে। তাই শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা। একজন ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত না লাগলে, এতোদিনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটতো।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তোলায় সাবেক সেতু সচিব ও বর্তমান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশারফ হোসেন ভূইয়াকে জেল খাটতে হয়েছিল।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা সন্দেহজনক অভিযোগের ভিত্তিতে পদ্মাসেতু প্রকল্পে প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান স্থগিত করার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, এর মাধ্যমে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশকে তার কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর দৃঢ় অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রিসভায় এই অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, কানাডার আদালতের রায় বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত এবং বিশ্ব দরবারে সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বলতর করেছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রিসভা মায়ানমারের দেশছাড়া বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানায়।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় এবং বিশ্বের মধ্যে মালয়েশিয়াই প্রথম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করে।