প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর কোনো ভাবনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলে বিএনপি নির্বাচন যাবে না বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলের সামনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার কিংবা জেলে পাঠানোর কোনো ভাবনা সরকারের নেই।
“আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে কারাগারে যাবে কিনা, সে মাফ পাবে কিনা সেটা আদালত বলতে পারবে। সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।”
বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে যদি কেউ মনে করেন যে, এখানে নির্বাচন হবে, নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়, তাহলে এদেশে নির্বাচন হবে না। দেশপ্রেমিক মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের অর্থ দুর্নীতির দুই মামলার বিচারকাজ চলার পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহসহ নাশকতার অভিযোগে বেশকিছু মামলা রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন থেকে বিএনপির শুরু করা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় জিয়া ট্রাস্ট্রের দুই মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।
তবে থানায় আদালতের পরোয়ানা পৌঁছায়নি জানিয়ে বিএনপি নেত্রীকে সেসময় গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। পরে আদালতে গিয়ে জামিন নেন খালেদা।
বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুর্নীতির দুই মামলার মতো সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় ভারতের তামিলাড়ুর ক্ষমতাসীন দলনেত্রী ভিকে শশিকলার কারাদণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে বনানী ওভারপাস পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপে’র দ্বিতীয় পর্বের কাজ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছাকাছি গিয়েও শশিকলাকে জেলে যেতে হয়েছে।
“তার জন্য ভারতের সরকার কিংবা নির্বাচন যেমন বসে থাকবে না, খালেদা জিয়ার জন্যও বাংলাদেশের নির্বাচন ও সংবিধান বসে থাকবে না।”
তামিলনাডুয় প্রিয় ‘আম্মা’ হিসেবে পরিচিত জয়ারাম জয়ললিতার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হতে চাওয়া শশিকলা দুর্নীতির দায়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দণ্ড নিয়ে বুধবার থেকে চার বছরের কারাবাসের মেয়াদ শুরু করেছেন।