1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

ভারতে বিয়ের ব্যয় কমাতে পার্লামেন্টে বিল!

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১৯৫ বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে করতে অনেকে প্রচুর ব্যয় করে থাকেন। খরচের বহর অনেকের এত বেশি থাকে যে এক বিয়ের খরচে বেশ কয়েকটি বিয়ের সারা সম্ভব। আবার এ ক্ষেত্রে অনেকের বক্তব্য বিয়ে তো নতুন জীবনে প্রবেশের দ্বার তাই না হয় একটু ব্যয় করাই যায়। তবে বিয়ের খরচ বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আগামী মাসে উঠতে যাচ্ছে ভারতের সংসদে। আর সেটি বিল আকারে পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে নির্দিষ্ট সীমার বেশি ব্যয় করলেই দিতে হবে অতিরিক্ত কিছু অর্থও। খরচে রাশ টেনে ধরতে এবার এই পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে পাঁচ লাখ ভারতীয় রুপির বেশি খরচ করলেই মোট খরচের ওপর ১০ শতাংশ হারে অর্থ একটি কল্যাণমূলক তহবিলে জমা দিতে হবে। খাওয়াদাওয়া ও আমন্ত্রিত অতিথির তালিকার ঊর্ধ্বসীমাও বেঁধে দেওয়া হবে।
ভারতের পার্লামেন্টে আগামী অধিবেশনে একটি বেসরকারি বিল আসছে। কংগ্রেসের সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন ‘দ্য ম্যারেজেস (কম্পলসারি রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ওয়েস্ট ফুল এক্সপেনডিচার) বিল ২০১৬’ শিরোনামে একটি বেসরকারি প্রস্তাব পেশ করেছেন সংসদে। ৯ মার্চ সংসদের অধিবেশন শুরুর পরে বিলটি সংসদে উঠবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিলের উদ্দেশ্যই হলো বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান ও বিয়ের অনুষ্ঠানের নামে বাজে খরচ বন্ধ করা। বিয়ের নামে কালো টাকা সাদা করার খেলাও বন্ধ করা।
বেসরকারি বিলটিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো পরিবার পাঁচ লাখ রুপির বেশি খরচ করতে চায়, তা হলে তাদের মোট খরচের পরিমাণ কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষকে অনুষ্ঠানের আগেই জানাতে হবে। সেই খরচের ১০ শতাংশ টাকা একটি কল্যাণমূলক তহবিলে জমা দিতে হবে ওই পরিবারকে। এই কল্যাণমূলক তহবিলের জমা হওয়া অর্থ গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়ের জন্য ব্যয় করা হবে। বিলে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে নিমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা ও কত ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে, তার ঊর্ধ্বসীমাও বেঁধে দিতে পারবে।

এই বিল আইনে পরিণত হলে বিয়ের ৬০ দিনের মধ্যে বিয়ে আইনত নথিভুক্ত করতে হবে।

রঞ্জিত রঞ্জন বিহারের সমালোচিত রাজনীতিবিদ পাপ্পু যাদবের স্ত্রী। তিনি পিটিআইকে বলেন, ‘এখনকার দিনে বিয়ের অর্থই হলো ধন-সম্পদ লোককে দেখানো এবং এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো সামাজিকভাবে চাপে থাকে। সমাজের ভালোর জন্য এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা দরকার।’

কংগ্রেসের এই সাংসদের মন্তব্য, এখন ধন-সম্পদের প্রদর্শনের ব্যাপার হয়ে উঠেছে বিয়ে। তিনি বলেন, ‘এই বিলের উদ্দেশ্য হলো বিয়েতে অসংযত এবং অযথা ব্যয় নিষিদ্ধ করা এবং সহজ ধর্মীয় আচার মেনে বিয়েতে উৎসাহ দেওয়া।’

তবে কেউ কেউ বিয়ের খরচ বেধে দেওয়ার এ প্রস্তাবের সমালোচনাও করেছেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog