প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তারপরও তাঁরা সামনের কয়েকটি নির্বাচনে দেখতে চান, নতুন কমিশন রকিবউদ্দীন কমিশনের মতো নির্বাচন করে কি না। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, নতুন নির্বাচন কমিশন সরকারের পছন্দের। এমন একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে, যিনি সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে জনতার মঞ্চের সংগঠক ছিলেন। তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলেন। সে সময় তিনি তার কার্যালয় থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছবি নামিয়ে ফেলেছিলেন।
সামনে কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নতুন কমিশনের ভূমিকা বিএনপি দেখতে চায় উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, সরকার ৫ জানুয়ারির মতো আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চাইলে দেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তখনকার বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংগঠিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এ প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত। কেন সেনাবাহিনীকে ভেতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি, সে প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, সরকার বিদেশিদের খুশি করলেও সেদিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
খন্দকার মোশাররফ দাবি করেন, দেশে এখন অলিখিতভাবে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। সরকার কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দী করে রাখা হয়েছে।