অান্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডা যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থী গ্রহণ অব্যাহত রাখবে, তবে যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
শরণার্থী নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে বিচ্ছিন্ন ও রক্ষীবিহীন সীমান্তগুলো দিয়ে দিন দিনই শরণার্থী প্রবেশ বাড়ছে কানাডায়। শরণার্থীদের হাসিমুখে স্বাগত জানাচ্ছে কানাডার পুলিশ—এমন ছবি ভাইরাল হয় মিডিয়ায়। এরপরই নিরাপত্তা শঙ্কা ও অপ্রতুল অভ্যন্তরীণ সম্পদকে কারণ দেখিয়ে কানাডার বিরোধী কনজারভেটিভরা দাবি তোলে, মধ্য বামপন্থী উদার ট্রুডো সরকার যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীদের প্রতিহত করুক।
তবে, গতকাল মঙ্গলবার পার্লামেন্টে জাস্টিন ট্রুডো স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের নেওয়া অব্যাহত রাখব। অন্যতম কারণ হলো কানাডা সব সময় একটি উন্মুক্ত দেশ। কানাডীয়রা বিশ্বাস রাখে দেশের অভিবাসী-ব্যবস্থা, সীমান্তের অখণ্ডতার ওপর। যারা নিরাপত্তা চায়, আমরা তাদের সাহায্য করি।’
গত সোমবার কানাডার পুলিশ জানায়, কুইবেক সীমান্তে তারা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় সমর্থন দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রফেরত শরণার্থীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ওই সীমান্ত কর্তৃপক্ষ একটি অস্থায়ী শরণার্থী কেন্দ্র তৈরি করেছে। গত দুই বছরের চেয়ে বর্তমানে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা কানাডায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৫২ জন শরণার্থী কুইবেক সীমান্ত দিয়ে কানাডায় পৌঁছায়। ২০১৬ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩৭ জন।
এ অবস্থায় বিরোধী ডানপন্থী কনজারভেটিভ পার্টি কর্তৃপক্ষকে অবৈধ অভিবাসী গ্রহণে সীমান্তে আরও বেশি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে বলে।
তবে বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক আছে জানিয়ে দেশটির জননিরাপত্তামন্ত্রী রালফ গুডেল সংসদে জানান, সীমান্তসেবা সংস্থা এবং পুলিশ সাবধানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।