1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

পিলখানা ট্রাজেডির ৮ বছর

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১৮৯ বার

প্রতিবেদক: পিলখানা ট্র্যাজেডির আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কান্না থামেনি শহীদ পরিবারগুলোতে।

আপনজন হারানোর যন্ত্রনা প্রতিটা মুহুর্তে তারা করে বেড়াচ্ছে তাদের।সেই দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের।তাদের একটাই প্রশ্ন কি অপরাধ ছিল সেনা কর্মকর্তাদের?

স্বজনদের বুকের ক্ষত কখনো ক্ষোভে পরিণত হয়। তাদের মতে প্রতিদিন কত দিবস পালন করা হয় অথচ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। একই সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার দাবি করেছে শহীদ পরিবারের স্বজনরা।

পিলখানায় ওই দিন হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারান কর্নেল কাজী এমদাদুল হক। স্বামী হারিয়ে দুই ছেলে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন কর্নেল কাজী এমদাদুল হকের স্ত্রী নাজনীন এমদাদ। কেমন আছেন- জানতে চাইলে নাজনীন বলেন, এভাবে ভালো থাকা যায় না। যারা দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে তারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ নয় ।

তিনি বলেন, কেন তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হলো- এটা এখন পর্যন্ত জানতে পারলাম না। বুকের ভিতরে এ কষ্ট কুরে কুরে খাচ্ছে। সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে নাজনীন এমদাদ বলেন, সেই দিনের কথা মনে হলে এখনো শিউরে ওঠি। আমাদের পোস্টিং ছিল রাজশাহীতে। দরবারে যোগ দিতে ছোট ছেলেকে নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বিজিবি সদর দপ্তরের অফিসার্স মেসে এসে ওঠি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল বেলায় হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পাই। এমন সময় এমদাদ ফোন করে বলে দরজা আটকিয়ে বসে থাকার জন্য। কেউ নক করলেও যেন দরজা না খুলি। এটাই ছিল এমদাদের সঙ্গে আমার শেষ কথা।আমি আমার সন্তানদের আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।

নিহত কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহেরীন ফেরদৌসী বলেন আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ করার নয়। অনেকেই হয়তো ভাবে শহীদ পরিবারগুলো টাকা, ফ্ল্যাট অনেক কিছু পেয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত স্বামীর শূন্যতা অনুভব করি। সবচেয়ে খারাপ লাগে যে, আস্তে আস্তে মানুষ ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ভুলে যাচ্ছে। অথচ এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার কথা।

তিনি বলেন, আমাদের আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই আমাদের শুধু একটি চাওয়া দিনটি শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করা হোক।

শহীদ লে. কর্লেন এমশাদ ইবনে আমিনের স্ত্রী ডা. রোয়েনা এমশাদ বলেন, এতদিন হয়ে গেল তারপরও ২৫ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে না। এতজন মেধাবী সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুতে শুধু পরিবার গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, দেশেরও ক্ষতি হয়েছে। তাই এই দিনটিকে পুরো জাতির এক সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।

তিনি বলেন, প্রতিদিন কত দিবস পালন করা হয়। কিন্তু ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। অথচ পিলখানায় নিহত শহীদ পরিবার গুলো অনেকদিন থেকেই এ দাবি জানিয়ে আসছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog