প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৪টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোমবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩ সালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হল- গুলশান (উত্তর) পাকা মার্কেট, গুলশান (উত্তর) কাঁচা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) পাকা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) কাঁচা মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা কাঁচা মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর ভবন মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর ভবন মার্কেট, কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট, কারওয়ান বাজার কাঁচা মালের আড়ৎ মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা মার্কেট, প্রান্তিক সুপার মার্কেট (গাবতলী) ও কলমীলতা কাঁচা মার্কেট।
ফাইল ছবি ফাইল ছবি মন্ত্রী বলেন, “এসব মার্কেটের বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ও মালিক সমিতিকে মালামালের ভার নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
“ইতোমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণ করে নতুন মার্কেট নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য মার্কেট সমিতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এসব মার্কেট অপসারণের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামলা হয়েছে। যে কারণে অপসারণ কাজে বিলম্ব হচ্ছে।”
সরকারি দলের শফিকুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এবং এই পানির ওপর নির্ভরশীরতা কমাতে সরকার সারা দেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করবে।
“সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর বেশি পরিমানে নির্ভরশীলতার কারণে এই পানির স্তর ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মওসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পাওয়া যায় না।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য জেলা পরিষদের পুকুর, জলাশয়, দীঘি পুনঃখনন’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ।
মন্ত্রী আরও বলেন, “১২২টি পৌরসভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তিনটি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পাইপ লাইন ও নলকূপের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
আ ফ ম বাহাউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের’ মাধ্যমে চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
“ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬। আগামী দুই বছরে এই অবস্থান ১০০ এর নিচে নামিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
বিকেল পৌনে ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।