ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা। মঙ্গলবার জাকার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সম্মতি আসে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত লিডার্স সামিটের এক ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদুল হক বলেন, “বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে এফটিএর বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন। “বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এফটিএর বিষয়টি খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটি সম্পন্নের জন্য দুই নেতাই সম্মত হয়েছেন।”
বাংলাদেশ এলডিসি দেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
দুই দেশের সম্পর্ক আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয় নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন বলে জানান শহীদুল হক।
তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের কথা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা আবারও উল্লেখ করেছেন। আমরা আশা করছি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসতে পারেন।”
লিডার্স সামিটের ফাঁকে শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী মাইথা সালেম আল-শামসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইউএইর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্রমশ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আইওআরএ-তে ইউএই একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
“একসময় ইউএই আইওআরএর চেয়ারম্যান হবেন। ইউএইর মেয়াদ শেষ হলে বাংলাদেশ চেয়ারম্যানশিপ গ্রহণ করবে। তখন সম্পর্কের যে গতিপ্রকৃতি হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
ইউইএর ভিসা পদ্ধতি বিশেষ করে বিজনেস ভিসা সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী সুপারিশ করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ও দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
জাপান
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নোবউ কিশির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা।
শহীদুল হক বলেন, “বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন জাপানের প্রতিমন্ত্রী।”
এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যেসব সমঝোতা রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সবশেষে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।