আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি ও অন্য কয়েকজন নেতা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট গতকাল সোমবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ওই নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিলেন।
৮৯ বছর বয়সী আদভানি ও মুরলি মনোহর যোশীর মতো নেতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী উমা ভারতীকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে কি না, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত ২২ মার্চ রায় দেবেন।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদী কর্মীরা ভেঙে দেন। তাঁরা ওই স্থানটিকে দেবতা রামের জন্মভূমি দাবি করে সেখানে তাঁর নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে চান।
রাজ্যের রায়বেরিলির একটি আদালত এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে আদভানি ও বিনয় কাতিয়ারের মতো নেতাদের অব্যাহতি দিয়েছিলেন। হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক কর্মী করসেবকদের বিরুদ্ধে প্রধান মামলাটি লক্ষ্ণৌর আদালতে ঝুলে রয়েছে।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে বিজেপির রাজনীতিকদের অব্যাহতি দিয়ে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছিলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট তা ২০১০ সালের মে মাসে বহাল রাখেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তা চ্যালেঞ্জ করে। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে ওই ষড়যন্ত্রের অভিযোগের পাশাপাশি ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি পরিপূরক অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। এর বিরোধিতা করে আদভানির আইনজীবী বলেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ যদি তুলতেই হয়, নিম্ন আদালতে অব্যাহতি পাওয়া ১৮৩ জন সাক্ষীকে আবার হাজির করতে হবে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় দুই ধরনের মামলা হয়েছে—একটি আদভানি ও বিজেপির অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে, আরেকটি অজ্ঞাতনামা লাখো করসেবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় আদভানি ও সহযোগীরা রাম কথা কুঞ্জের মঞ্চে ছিলেন। আর করসেবকেরা মসজিদের ভেতরে ও আশপাশে ছিলেন। মোগল আমলের স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের মৃত্যুর পর তাঁর নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।