প্রতিবেদক : জঙ্গিবাদ দমনের নামে দেশে নতুন ‘ড্রামা’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ড্যাব’র উদ্যোগে তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. এম এ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবদুল বায়েস মিয়া, ড্যাবের মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. বজলুল করীম ভুঁইয়া প্রমূখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী ভয়াবহ পরিণতি জঙ্গিবাদে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ-এ তিন দেশকে আমেরিকা চিহ্নিত করেছে। দেশের মানুষকে আজকে ভিসা সংকটে পড়তে হচ্ছে। আমাদের যারা কাজ করতে যান সিঙ্গাপুরে, তাদের অনেককে ফেরত আসতে হচ্ছে। কেনো? তাদের (বিদেশী) যে লক্ষ্য ছিল যে, বাংলাদেশকে জঙ্গি স্টেট হিসেবে চিহ্নিত করা। সরকারের কারণে এ ধারণা গোটা পৃথিবীতে দেয়া হচ্ছে- বাংলাদেশ একটা জঙ্গি রাষ্ট্রের পরিণত হচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে আপনারা (সরকার) এগুলো তদন্ত করছেন না। যাদেরকে ধরছেন জঙ্গি হিসেবে,গত কয়েকদিন ধরে আবার নতুন একটা ড্রামা শুরু হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রথম ড্রামাটা হলো টঙ্গিতে। আমরা জানি না আসল ব্যাপারটা কী? সাংবাদিক ভাইরা কতটুকু বুঝতে পারছেন, আমি বুঝতে পারছি না। কুমিল্লার বাসস্টপে দেখা গেল জঙ্গি আক্রমণ হলো, ছবি বিরাট করে দিয়ে দিয়েছে। ইজ ইট পসিবল? ওই সময়ে ওই মুহুর্তের মধ্যে একটা ছবি তুলে গান পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে যে ছবিটা আসছে। আমি জানি না, আপনারা (সাংবাদিক) ভালো বলতে পারবেন। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, আমরা এগুলোকে অস্বীকার করছি না বা আমরা বাতিল করে দিচ্ছি না। কিন্তু আপনাকে জনগণের সামনে গ্রহনযোগ্য যুক্তি খাঁড়া করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে এগুলোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
ফখরুল বলেন,সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী। সে তো যুদ্ধাপরাধী নয় বা অন্য কোনো ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত না। মামলার হাজিরা দিতে গেলে তাকে তুলে নেয়া হল। পরিষ্কারভাবে পত্র-পত্রিকায় উঠলো যে, সাদা পোশাকধারী এসে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। ৭ মাস পরে তাকে ফেলে দিয়ে গেল তার বাড়ির সামনে। নো এনসার। গোটা জাতির সামনে এটার কোনো উত্তর নেই। লাশ পড়ে থাকছে রাস্তার ধারে ডোবার ধারে, এসবের কোন জবাব মিলছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সহায়ক সরকার সংবিধানে নেই। সংবিধান কাদের জন্য। মানুষের জন্য সংবিধান, মানুষের প্রতিনিধিরাই সংবিধান প্রণয়ন করেন। আজকে আপনারা যে সংবিধান তৈরি করেছেন, ওটাকে একটা বাইবেল বানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণ থেকে ক্ষমতাসীনরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বলেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে- নিরাপত্তা ও সামরিক চুক্তি করছেন। ভালো কথা, দেশে দেশে নিরাপত্তা চুক্তি হয়, সামরিক চুক্তি হয়। বাংলাদেশের চুক্তি ভারতের সঙ্গে করবেন জনগণ কিছুই জানবে না, এটা তো হতে পারে না। জনগণের সামনে চুক্তিগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে- এটা মেনডেটারি । সেটা করা হচ্ছে না।