প্রতিবেদক : বিশেষ প্রেক্ষাপটে বিয়ের বয়স শিথিলের বিধানসহ জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ’ বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাষ্ট্রপতি এটিসহ মোট তিনটি বিলে সই করেন।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হলো। এবার গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে আইনটি কার্যকর হবে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে পাস হয়। এর মধ্যে দিয়ে মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ ও ২১ বছর বহাল থাকলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ কম বয়সেও বিয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
তবে বিশেষ প্রেক্ষাপট কী এবং কত কম বয়সে বিয়ে করা যাবে,তা আইনে স্পষ্ট করা হয়নি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বলা হয়েছিল, এগুলো আদালত নির্ধারণ করবে।
গত ১ মার্চ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ প্রেক্ষাপটে কম বয়সে বিয়ের সুযোগ রাখার বিধানটি অনুমোদন না করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানানোর কথা জানায় নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর দেশের নারী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিলটি পাস না করতে বাংলাদেশের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন’ বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এই আইনের অধীনে বিধি করা হচ্ছে, যা হলে আর কোনো উদ্বেগ থাকবে না।
রাষ্ট্রপতি এদিন অন্য যে দু’টি বিলে সই করেন সেগুলো হচ্ছে- ব্যাটালিয়ন আনসার (সংশোধন) ২০১৭ এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা কাউন্সিল বিল- ২০১৭।