প্রতিবেদক: রাস্তায় নামতে ভয় পেলে রাজনীতি কেন? বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুব মহিলা লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
এর আগে দীর্ঘ ১৩ বছর পর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্ধোধন করেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৯৩ দিন তার গুলশান কার্যালয়ের অবস্থানের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী অফিসে বসে হুকুম দিল অত্যাচার করো, মানুষ মারো, আগুনে মানুষ পোড়াও। সবকিছু করো যাতে সরকার উৎখাত হয়। উনি প্রতিজ্ঞা করে বসে ছিলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত উনি ঘরে ফিরে যাবেন না। আমি যদি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি, উনি ঘরে ছিলেন, না রাস্তায় ছিলেন? উনি কী জবাব দেবেন।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা অত্যাচার করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণই তাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠেকায়। তখন এটা বন্ধ হয়।
বিএনপি ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে অর্থসম্পদের মালিক করেছে। তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে। এটা ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি।
এবার সম্মেলনে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কাউন্সিলর যোগ দিয়েছে। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে সম্মেলনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ঢাকায় জড়ো হন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে। সেইসাথে ঢাকা মহানগরের দুই কমিটিতেও পরিবর্তন আসছে। এক্ষেত্রে উত্তরে সভাপতি হতে পারেন সাবিনা আক্তার তুহিন এবং দক্ষিণে সভাপতি হিসেবে আসমা জেরিন ঝুমুর। এছাড়া আরো কয়েকটি পদে নতুন নেতৃত্বের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালের ৫ মার্চ। তখন নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।