1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

বিচারবিভাগকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে: প্রধান বিচারপতি

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭
  • ১৪৯ বার

প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধির গেজেট প্রকাশে আরো দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ। বিচারবিভাগকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা।

মঙ্গলবার সকালে বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে মামলার শুনানিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকদের শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়ে বারবার সময় নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কতবার সময় নেওয়া হবে? দেশ কি আটকে আছে? দেশ কি চলছে না?

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের কাছে ব্যক্তি কিছু নয়, প্রতিষ্ঠানই বড়। বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আর সময় দেওয়া যাবে না।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল দুই সপ্তাহের সময় চাইলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করেন।

এরপর মন্ত্রণালয়ের কথা জানিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে শিগগিরই বিধিমালা প্রণয়নে ফের আরো দুই সপ্তাহ চান অ্যাটর্নি জেনারেল। পরে দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করার জন্য বারবার সময় আবেদনের কারণ সরকারপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয় আদালত। সে অনুযায়ী এদিনে লিখিত ব্যাখ্যা দেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশের আশা প্রকাশ করে আদালত।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে সরকারকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয় আপিল বিভাগ। এর আগেও গেজেট প্রকাশে কয়েক দফা সময় নেন সরকার। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর তলবও করে আপিল বিভাগ।

গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog