স্পোর্টস ডেস্ক: লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শততম টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৪৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রান বিশাল স্কোর। চতুর্থ ইনিংসে যেটি তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জেতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দেশসেরা এই ওপেনারের জন্মদিন আজ। ১৯৮৯ সালের এই দিনে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ দলের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান এবং হার্ডহিটার ওপেনার তামিম ২৮ বছর পূর্ণ করলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন বাঁহাতি তামিম। এবারের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ও নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
কলম্বো টেস্ট ৪ উইকেটে জেতার পর মাঠেই তামিম নিজের প্রতিক্রিয়া জানান, “অবশ্যই এটা জন্মদিনের সম্ভাব্য সেরা উপহার। জন্মদিন কাটবে পরিবারের সাথে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট না এই ম্যাচ – কোন জয় বড় বলা কঠিন। ইংল্যান্ডেরটা ছিল খুবু গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা শততম ম্যাচ। আমি কিভাবে বেছে নেব?”
তিনি আরো বলেন, “আমি তাড়াহুড়া করিনি। আমার পরিকল্পনা ছিল, রক্ষণাত্মক হবো না। আমরা পঞ্চম দিনে ব্যাট করছি, যে কোনো সময় একটা ভালো বল হয়ে যেতে পারে; তাই আমার রানের চাকা সচল রাখা দরকার ছিল। আর বাউন্ডারির সুযোগ এলে কাজে লাগানো দরকার ছিল।”
শতক পূর্ণ করতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ নেই তামিমের। তিনি বলেন, “একশ’ পেলে ভালো হতো। দিন শেষে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমরা জিতেছি, এই ৮২ রান আমার কাছে অনেক কিছু, অনেক বড় ব্যাপার।”
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, টেস্ট ও ওয়ানডেতে জন্মদিন কিংবা এর আশপাশের সময়গুলোয় দারুণ ঝলকে ওঠে তামিমের ব্যাট। তার মানে ২০ মার্চ কিংবা এর আগের-পরের দিনগুলো বাঁহাতি ওপেনারের জন্য যথেষ্ট পয়া!
টেস্টটাই আগে বলি, ২০১০ সালের ১৩ মার্চ ইংল্যান্ডের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেন ৮৬। ওই বছরের ২০ মার্চ অর্থাৎ জন্মদিনে ইংলিশদের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি। ফেরেন ৮৫ রানে (৭১ বলে)। দ্বিতীয় ইনিংসেও এল ফিফটি। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৫৯। এই মার্চেও চেনা রূপে তামিম—৪ ইনিংসে ৫১.৭৫ গড়ে রান ২০৭।
দারুণ ইনিংস খেলে তামিম জন্মদিন উদ্যাপনে বেশ পারদর্শী! ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে সেই মহাকাব্যিক জয়। ডাউন দ্য উইকেটে এসে জহির খানদের তামিমের উড়িয়ে মারার দৃশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় রূপকথার অংশ। তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। ২০০৮ সালের ২০ মার্চ মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬। একই দলের বিপক্ষে ২২ মার্চ ১২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ২০১২ সালের ২০ মার্চ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯। সব কটি ওয়ানডেই জিতেছে বাংলাদেশ। এবার জিতল টেস্ট।