প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার জঙ্গিবাদ ইস্যুকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক মুনাফা তোলার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো যখন সামনে আসে তখনই জঙ্গিবাদের মতো ভয়ঙ্কর ইস্যুগুলোকে বায়োস্কোপের মতো জনগণের সামনে নিয়ে আসা হয়।
সুতরাং সরকারই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদকে গোপনে লালন-পালন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপনিবশ রাষ্ট্র বানাতে চায় বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সুতরাং তাদের যদি স্ট্রং কমনসেনস থাকে তাহলে তারা প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে না। আর যদি করে তাহলে আমরা ধরে নেবো, ভারত চুক্তি করে বাংলাদেশকে উপনিবেশ রাষ্ট্র বানাতে চায়।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা বা সমঝোতা স্মারক যাই হোক না কেন, তা বাংলাদেশের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। বরং তা হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত। এ চুক্তির মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা গুম করে দেয়া হবে ভারতের কাছে।
কুসিক নির্বাচন নিয়ে সিইসির বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে শাসকদলের সন্ত্রাসী তৎপরতা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সতুরাং সিইসি’র বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
স্বাধীনতা দিবসের বিএনপির র্যা লিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল দেখে শাসকদল ঈর্ষান্বিত হয়েছে উল্লেখ করে দলের এই সিনিয়র নেতা বলেন, যায় ফলশ্রুতিতে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বিএনপির র্যা লিতে পুলিশ গুলি ও লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এই হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের বড় বড় বুলির নমূনা।
এঘটনায় প্রমান হয়, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ।