প্রতিবেদক : সিলেটে শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলে জঙ্গিদের রাখা বিস্ফোরক শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি একটি ড্রোন। এই ড্রোনটি তৈরি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শাবি ক্যাম্পাসের আকাশে ড্রোনটির প্রথম সফল উড্ডয়ন করেছিলেন তারা। এরপর নিয়মিত উড্ডয়নের পাশাপাশি গত বছরের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানেও ড্রোন উড্ডয়ন করেন উদ্যোক্তাদের দলনেতা সৈয়দ রেজোয়ানুল হক নাবিল।
রেজোয়ানুল হক নাবিল জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এর আগে তারা ড্রোনের সফল উড্ডয়ন করেছিলেন। এমনকি সফলভাবে ওড়ানোর বিষয়টি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট করেছিলেন। নাবিল শাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন।
নাবিল জানান, ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১ টা ২৭ মিনিটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সর্বপ্রথম ড্রোনটি ওড়ানো হয়। প্রফেসর ড. জাফর ইকবালের তত্ত্বাবধায়নে এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রেজুয়ানুল হক নাবিল, মারুফ হোসেন রাহাত ও রবি কর্মকার ড্রোনটি তৈরি করেন। ড্রোনটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।পুরো টাকাই দিয়েছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
আতিয়া মহলে জঙ্গিদের রাখা বিস্ফোরক শনাক্ত করতে আজ মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোর অভিযানে ফের শাবির শিক্ষার্থীদের তৈরি সেই ড্রোনটি আকাশে ওড়ানো হয়েছে। ড্রোনের সাহায্যে আতিয়া মহলের ভেতরের ছবি তোলা হয়। সেগুলো দেখে বিস্ফোরক শনাক্ত এবং নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযান সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি দায়িত্বশীল সূত্র একথা জানিয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন থাকলেও তারা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো ড্রোন এ কাজে ব্যবহার করছে। বাড়ির ভেতরে কোথায় বিস্ফোরক রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন ছাড়াও বিস্ফোরক শনাক্ত করতে অন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।