প্রতিবেদক: হঠাৎ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা হল প্রশাসনের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তাদের দাবি হলের প্রধান আবাসিক শিক্ষককে অপসারণ করতে হবে।
দাবি পূরণ না হওয়ায় একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলের গেট খুলে বাইরে এসে ট্রায়ারে অগ্নিসংযোগ ও পরে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে এবং সেখানে অবস্থান নেয় তারা। পরে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। এতে রাত দেড়টার দিকে ছাত্রীরা হলে ফিরে যায় বলে জানা গেছে।
ফোনে রাজিয়া সুলতানা নামে হলের আবাসিক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুয়েত মৈত্রী হলের প্রধান আবাসিক শিক্ষক লোপা আহমেদ এর আগে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সেই সঙ্গে আবাসিক ছাত্রীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য ও তাদের মা-বাবা নাম তুলে গালি দেন। এ নিয়ে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে দায়িত্ব থেকে দূরে থাকতে বলে।
এ প্রেক্ষিতে ওই আবাসিক শিক্ষক দীর্ঘদিন কর্ম থেকে বিরত থাকার পর গত ১৭ মার্চ পুনরায় হলে দায়িত্ব পালন করতে গেলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুবিনা খন্দকারকে অবহিত করেন এবং বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করে। এরপরও ওই শিক্ষক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত না থাকায় এবং প্রাধ্যক্ষ কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত মধ্য রাতে হলে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে ফোনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা আমার কাছে এসেছিল, তারা হাউজ টিউটরের অপসারণ নিয়ে অভিযোগ দিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি দেখবো বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি।