প্রতিবেদক: গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় রানা ও দ্বীপের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে আদালত। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন হলেন- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপ (২২), রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিককে (২৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রেখেছেন বিচারক।
গত ৯ জানুয়ারি সাত আসামির আপিল ও জেল আপিল, ডেথ রেফারেন্স ও ক্রিমিনাল রিভিশনের শুনানি শেষে যেকোনো দিন দেয়া হবে জানিয়ে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত বছরের ৭ নভেম্বর এ মামলার তিন আপিলের শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়। রাজীব হত্যা মামলায় ৫৫ সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন রাজীব। ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৫৫ জনকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী করা হয়।
মামলার আট আসামি হলেন- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপ (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসান রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
জসীমউদ্দিন রাহমানী ছাড়া সবাই নর্থ সাউথের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পলাতক রানাকে রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।