প্রতিবেদক : পহেলা বৈশাখে রাজধানীতে মোটর সাইকেলে চালক ছাড়া আর কাউকে দেখতে পেলে আটকাবে পুলিশ; সেদিন কাঁধে কিংবা হাতে কোনো ব্যাগ না রাখতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার মধ্যে সোমবার সচিবালয়ে পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।
কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা না থাকলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধরনের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। “কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই, সিকিউরিটি রিজন থেকে এই ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হচ্ছে।”
গত বছর গুলশান হামলার পর টানা অভিযানে জঙ্গি তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়লেও সম্প্রতি জঙ্গিদের আবার মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। পহেলা বৈশাখে বাঙালির বর্ষবরণের উৎসবকে ‘অনৈসলামিক’ মনে করে জঙ্গিরা। বর্ষবরণের উৎসব জঙ্গি হামলার লক্ষ্যবস্তুও হয়েছে আগে।
মোটর সাইকেলে একাধিক জন ঢাকা শহরের নিত্যচিত্র; পুলিশ মাঝে-মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না মোটর সাইকেলে একাধিক জন ঢাকা শহরের নিত্যচিত্র; পুলিশ মাঝে-মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও এই প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না
বাংলা বর্ষবরণে রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে পহেলা বৈশাখে নানা অনুষ্ঠান হবে। ঢাকায় উৎসব আবর্তিত হবে রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতেও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর মাঝ থেকে কেউ ঢুকতে পারবেন না, প্ল্যাকার্ড হাতে রাখতে হবে। ভুভুজেলা, বাঁশি ব্যবহার সম্পুর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
পহেলা বৈশাখে উন্মুক্ত স্থানের সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
দুই বছর আগে বৈশাখে অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবার কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে কাজ করবেন।