প্রতিবেদক : তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা চাইবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে এ বিষয়ে জোর দিয়ে কথা বলা হবে বাংলাদেশের পক্ষে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতে বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের বলবো অনেক সময় গড়িয়ে গেছে। কাজেই আমরা যথাসম্ভব দ্রুত এবং একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ জানান চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি নিয়ে আমরা অনেক অপক্ষো করেছি। কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গেও নির্বাচনের পরে কিছু হবে। এখন তো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কাজেই আমরা চাই এর দ্রুত সমাধান।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের সরকারের আলোচনার পর ২০১১ সালে চুক্তিটি চুড়ান্ত হয়। কিন্তু মন্ত্রী পর্যায়ে স্বাক্ষর হয়নি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতার কারণে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনা করবে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নাই। এটি তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা দেখেছেন, আমিও দেখেছি মমতা ব্যানার্জির দিল্লি আসার কথা। কিন্তু দিল্লি আসলে কী আলোচনা হবে সেটি স্পেকুলেটিভ বিষয়।’
রাষ্ট্রদূত বলেন প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ‘সারপ্রাইজ’ থাকবে। তবে এর মধ্যে তিস্তা সংক্রান্ত কোনও বিষয় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে দুইদেশের সম্পর্কেও ক্ষেত্রে নতুন একটি দিক উন্মোচন হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৬৬১ জন শহীদ ভারতীয় সৈনিককে সম্মাননা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর গত ডিসেম্বরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেসময় ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে এক সঙ্গে না পাওয়ার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। এখন দুইজনকে একসঙ্গে পাওয়া গেছে বলেই এ সফর হচ্ছে।
তিনি বলেন এ সফরে ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
দুদেশের মধ্যে চুক্তি ও সমাঝোতা স্মারকের বেশির ভাগই সীমান্ত হাট স্থাপন, তথ্য ও সম্প্রচার, বেসামরিক পারমানবিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ভারতের প্রদেয় তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা সম্পর্কিত বলে তিনি জানান।
শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী বিরল-রাধিকাপুর রুটে মালামাল পরিবহনকারী রেল চলাচল, খুলনা-কোলকাতা রুটে যাত্রীবাহী বাস ও রেল চলাচল,ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করবেন