1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন

অবসাদের মোক্ষম ওষুধ হাঁটা

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭
  • ২৮৬ বার

মহাযুগ ডেস্ক: যন্ত্রচালিত পরিবহন আবিষ্কারের আগে ঘোড়া, গাধার সাহায্যে দূর-দূরান্ত পাড়ি দিত মানুষ। আধুনিকতার পাশাপাশি মানুষের হাঁটার পরিমাণ কমছে। আর নানা রোগ দেখা দিচ্ছে আলসে মানুষের শরীরে। বর্তমানে হাঁটতে বললে ঘুম জড়িয়ে ধরে- এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু নিয়মিত হাঁটলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ওয়াশিংটনের ওয়েটরন অ্যাফেয়ার্স মেডিকেল সেন্টার ও ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টো সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটলে মানুয়ের আয়ু বাড়ে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যারা নিয়মিত হাঁটেন, তাদের ৯৭ শতাংশই নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি উপলব্ধি করেন।পিটার কোংস নামের গবেষক বলেন, মৃত্যুকে আটকানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু ঠিকমতো শরীর চর্চায় আয়ু বাড়ানো সম্ভব। শুধু হাঁটার মাধ্যমে একজন মানুষ ৮০ শতাংশ সুস্থ থাকতে পারে। নিয়মিত হাঁটার ফলে পায়ের গঠন ভালো হয়।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪২ শতাংশ বয়স্ক ও ৫০ শতাংশ অল্পবয়সী মানুষ জানিয়েছে, হাঁটার ফলে তাদের স্ট্রেস ও টেনশন কমে।

সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, যাদের হাঁটার অভ্যাস নেই- তাদের মধ্যে অবসাদে ভোগার প্রবণতা বেশি। যারা হাঁটেন না- তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ অবসাদ ও উচ্চ স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগার কথা স্বীকারও করেছেন।

অন্যদিকে যারা অবসাদের ভুগেছিলেন এবং চিকিত্সকের পরামর্শে নিয়মিত হাঁটছেন- তাদের মধ্যে ৫৯ শতাংশই জানিয়েছেন, হাঁটার সময় অবসাদের কথা ভুলে যান। ৫০ শতাংশ মানুষের মতে, জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করে হাঁটা।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ মনে করেন, হাঁটা তাদের খুশি রাখে এবং ২৬ শতাংশ বলেন, হাঁটার ফলে তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

এ সমীক্ষায় কিছু নেতিবাচক কথাও এসেছে। অংশগ্রহণকারীদের ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন, হাঁটতে বেরোলে বিরক্ত হন তারা। ২১ শতাংশ জানিয়েছেন, সঙ্গ দেওয়ার কেউ নেই বলে হাঁটতে ভালো লাগে না।

শুধু অবসাদ কাটানো নয়, হাঁটার আরও অনেক ভাল প্রভাবের কথাও এ দিন তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, নিয়মিত হাঁটা আমাদের কর্মক্ষমতা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে; অনিদ্রায় ভোগার সমস্যা কমিয়ে আনতে পারে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত; সতর্কতা বাড়াতে পারে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত; রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা বা রাতে হাঁটুন:

মূলত হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা বা রাত যখনই সময় পাবেন- হাঁটার জন্য সময় নির্ধারণ করুন। সকালের পরিবেশ সাধারণত সুন্দর, শান্ত ও দূষণমুক্ত থাকে। এ সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য শরীরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নেওয়া যায়। তাই উৎকৃষ্ট সময় হিসেবে সকালকে বেছে নিতে পারেন।

রোগীদের ক্ষেত্রে হাঁটার সময় নিয়ে কিছুটা সতর্ক থাকা উচিৎ। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগীদের বিকেলে বা সন্ধ্যায় হাঁটা অত্যন্ত জরুরি।

গ্রামে হাঁটার জায়গার অভাব নেই। তবে নাগরিক জীবনে হাঁটার নিরাপদ জায়গার অভাব বোধ করেন অনেকেই। বাড়ির ছাদ, ব্যালকনি বা বাসার আশপাশে খোলা জায়গা বেছে নিতে পারেন হাটার জন্য। হাঁটার জন্য সমতল যায়গা বেছে নেওয়া ভালো।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog