1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

রোনালদোর হ্যাটট্রিকে সেমিতে রিয়াল

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১৯৭ বার

মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি পর্বের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শততম গোলের মাইলফলকে পৌঁছেছেন রোনালদো।

বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল জিনেদিন জিদানের দল। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে নির্ধারিত সময়ের খেলায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আর পারেনি এর আগেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া কার্লো আনচেলত্তির দল। রোনালদোর আরও দুই গোল আর মার্কো আসেনসিওর লক্ষ্যভেদে শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ ব্যবধানে শেষ চারে উঠে রিয়াল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অতিথিরা। রোনালদো সমতা ফেরানোর পর সের্হিও রামোসের আত্মঘাতী গোলে আবার পিছিয়ে যায় রিয়াল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই রোনালদোর ইতিহাস গড়া হ্যাটট্রিক।

ম্যাচের ২৬তম মিনিটে দানি কারবাহালের আচমকা শটে এগিয়ে যেতে পারতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।

দুই মিনিট পর প্রথমার্ধের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করে রিয়াল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দাভিদ আলাবা-মাটস হুমেলসরা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় পেয়ে যান সের্হিও রামোস। তার জোরালো শট গোললাইনের কাছ থেকে ফেরান জেরোমে বোয়াটেং।

৩৭তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রোনালদো। বাঁ-দিকে ছিলেন করিম বেনজেমা; কিন্তু পাস না দিয়ে নয়ার বরাবর শট মেরে বসেন পর্তুগিজ ফরোয়াড।

শুরু থেকে বায়ার্ন বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ করলেও প্রতিবারই শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলে রবের্ত লেভানদোভস্কি-আরিয়েন রবেনরা। বিরতির আগে তারা মোট আটটি শট নেয়; কিন্তু তার কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে জ্বলেল অতিথিরা। ৫০তম মিনিটে রবেনের শট গোললাইন থেকে হেডে ফিরিয়ে রিয়ালকে বাঁচান মার্সেলো।

তিন মিনিট পরেই লেভানদোভস্কির সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা রবেনকে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার কাসেমিরো ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

এগিয়ে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বায়ার্ন। ৫৭তম মিনিটে কিছুটা কঠিন হলেও আর্তুরো ভিদাল সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবধান দ্বিগুণ করার। কিন্তু ক্রসবারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে মারেন চিলির এই মিডফিল্ডার।

শুরু থেকে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে না পারা বেনজেমাকে ৬৪তম মিনিটে তুলে নেন জিদান, নামান মার্কো আসেনসিওকে।

৭৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। ডান দিক থেকে কাসেমিরোর ক্রসে হেড করে বল জালে পাঠান রোনালদো।

স্বাগতিকদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য এক মিনিটও স্থায়ী হয়নি। ৩৬ সেকেন্ড পরেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে তারা। ডি-বক্সের মধ্যে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে রামোসের পায়ের টোকায় বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে।

৮৪তম মিনিটে আসেনসিওকে ট্যাকল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ভিদালকে।

অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন দগলাস কস্তা। কিন্তু তার কোনাকুনি শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আসেনসিওর নীচু কোনাকুনি শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান নয়ার।

এর কিছুক্ষণ পরেই ফের কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় রিয়াল। ১০৪তম মিনিটে রামোসের উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে নীচু হাফ-ভলিতে জালে পাঠান রোনালদো। অফসাইডের আবেদন করে বায়ার্নের খেলোয়াড়েরা; কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশি বাজান। টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায়, ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই গোলের করার আগে অফসাইডে ছিলেন রোনালদো।

এর পাঁচ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রোনালদো। দুজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া মার্সেলোর নিজে গোলের চেষ্টা না করে পাস দিয়েছিলেন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা সতীর্থকে।

এবারের আসরে রোনালদোর এটা সপ্তম এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০তম গোল।

তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন আসেনসিও। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে নীচু কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্পেনের এই মিডফিল্ডার।

অন্যদিকে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে হারেনি লেস্টার সিটি। কিন্তু প্রথম লেগের জয়ে শেষ চারে উঠেছে গতবারের রানার্সআপরা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog