1. sardardhaka@yahoo.com : adminmoha : Sardar Dhaka
  2. nafij.moon@gmail.com : Nafij Moon : Nafij Moon
  3. rafiqul@mohajog.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  4. sardar@mohajog.com : Shahjahan Sardar : Shahjahan Sardar
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

সেই শিক্ষার্থীরাই সাজিয়ে রাখলেন উল্টানো ভাস্কর্য 

মহাযুগ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৩৬১ বার

প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদে উল্টে রাখা বিভিন্ন ভাস্কর্য ঠিকঠাক করে রেখেছেন ঘটনার দায় স্বীকারকারী দুইজনসহ ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল থেকে তারা ভাস্কর্যগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা শুরু করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাস্কর্যগুলোকে আগের মতো ঠিকঠাক করে রাখা হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালেও দুয়েকজন শিক্ষার্থীকে কিছু ভাস্কর্য সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। এদের মধ্যে সুমন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে দুইজন ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তারাসহ বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালেই ভাস্কর্যগুলো সাজিয়ে রাখেন। এসময় শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।’

গত ১৭ এপ্রিল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক ভাস্কর্য উল্টে রাখা হয়। পরে মঙ্গলবার মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী স্বাধীন ও ইমরান হোসাইন এ ঘটনার দায় স্বীকার করেন।

ইমরান হোসাইন  বলেন, ‘যেখানে ভাস্কর্যগুলো রাখা হয়, সে জায়গার নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর, ভাস্কর্যগুলোর পরিচর্যা, চারুকলা গেটে পুলিশ চৌকি স্থাপন, সেশনজট দূর, শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করার দাবিতে আমরা এ কাজ করি। আমাদের সঙ্গে প্রায় সকল ব্যাচ থেকেই শিক্ষার্থীরা ছিল।’

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ডিনের কাছে চিঠি দিয়েছেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যা বিভাগের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চিঠি পেয়েছি। তবে অভিযোগটি অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (উপাচার্য) প্রয়োজন, যেটি এখন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপচার্য, উপ-উপাচার্য নিয়োগের পরই তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 Mohajog