তিনি বলেছেন, “জিয়াউর রহমান এদেশে প্রথম নারী উন্নয়নের কমিশন করেছিলেন, মহিলা মন্ত্রণালয় করেছেন। উনি দলের যে গঠনতন্ত্র করেছেন সেখানে মহিলাদের বেশি করে স্থান দেওয়ার কথা বলেছেন।
“খালেদা জিয়া তার স্থায়ী কমিটিতে একজন মাত্র মহিলা নেত্রী রেখেছেন। তার মানে উনি জিয়াউর রহমানের কথা শুনছেন না।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঙ্গলবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে গঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষণা পরিষদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন জাফরুল্লাহ।
এই আলোচনা সভায় দেড় শতাধিক ছাত্রদল নেতা-কর্মীর মধ্যে মাত্র ৫ জন ছাত্রীর উপস্থিতি দেখে এই প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি।
ছাত্রদলের নেতাদের ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাম সংগঠনটিতে অভিনন্দন না জানানোকেও ‘জিয়াউর রহমানের প্রতি অশ্রদ্ধা’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত জাফরুল্লাহ বলেন, “আজ ২৬ এপ্রিল, ১৯৫২ সনের এই দিনে ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম হয়েছিল। ছাত্রদলের কর্মকর্তারা কি ছাত্র ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন?
“এটা আপনাদের জিয়াউর রহমানের প্রতি অশ্রদ্ধা। জিয়াউর রহমান সব সময় সকল রাজনীতিক দলকে সম্মান করার কথাই বলেছেন। আপনারা আজকের দিনেও তার কথা মনে রাখেননি।”
এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
ফখরুল অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বীরোত্তম’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান গবেষনা পরিষদ’ এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।
৯৩ পৃষ্ঠার গ্রন্থটিতে অসংখ্য ভুল বানান তুলে ধরেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাস্টি সদস্য জাফরুল্লাহ। পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, এই মুদ্রণত্রুটি পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে।
জাফরুল্লাহ বলেন, “জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমাদের ইতিহাস আমাদেরকে লিখতে হবে, ভারতীয়দের হাতে আমাদের ইতিহাস লেখার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
“আমাদের সাহায্য করতে যেতে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতের ১৬৬৮ জন সৈন্য মারা গেছে। কিন্তু এখন মনে হয়, স্বাধীনতা এনেছে ভারত।”
ভারত থেকে ‘সাবধান হতে’ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “তা না হলে আমাদের জন্য দুর্ভোগ আছে।”
জিয়াউর রহমানের জীবনী গ্রন্থ পড়ার জন্যও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ।