প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে আবু (৩০) নামের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ অবস্থান করছেন। আবুর পরিবার ছাড়াও বাড়িতে আরও দুজন থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। বাড়ির মালিকের ছেলে ও আবুর মা’র সাথে কথা বলে আবু সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘিরে রাখা বাড়িটির মালিক সাইদুর রহমান ওরফে জেন্টু বিশ্বাস। সাইদুরের ছেলে আনারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িটি ফাঁকা পড়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে পরিবার নিয়ে বাড়িটিতে ওঠেন আবু। ভাড়ার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ত্রিমোহনী শিবনগর গ্রামেরই বাসিন্দা আবু। ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে আবুর পৈতৃক বাড়ি। আবুর বাবা আফসার আলী। মা ফুলসানা বেগম।
মা ফুলসানা বেগম জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আবু ও তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে আবু পরিবার নিয়ে বাড়ি ছাড়েন। প্রায় আট বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে আবুর বিয়ে হয়। আবু হাটে-বাজারে মসলা বিক্রি করতেন। ত্রিমোহনী বাজারে তাঁর একটা দোকানও আছে।
ফুলসানা বেগমের ভাষ্য, তাঁদের সঙ্গে আবু ও তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। আবুর চলাফেরা ও ধর্মীয় রীতিনীতি পালন নিয়ে বাবা আফসারের সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে আবু শিবগঞ্জের আব্বাস বাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন। আবু সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করতেন।
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির ভাষ্য, আবু ত্রিমোহনী আলিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন। স্থানীয় ৮-১০ জন ব্যক্তির সঙ্গে চলাফেরা করতেন তিনি। অন্যদের সঙ্গে তেমন মিশতেন না। তাঁরা আলাদাভাবে নামাজ পড়তেন। তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান ওরফে মোহন (২৮) ও আবদুস সালাম (৩৫) নামের দুজনকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিবনগর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তবে তাঁদের আটক করার বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সাইদুরের বাড়িতে ওঠার কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে আসেন আবু। কিন্তু বাবার সঙ্গে ফের বিরোধ দেখা দেওয়ায় সাইদুরের বাড়িতে ওঠেন। সাইদুরের ছেলে আনারুল বলেন, এলাকার ছেলে হিসেবে আবুকে বাড়িটি ভাড়া দেন তাঁরা।