প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ হিসেবে রূপান্তরের জন্য একটি কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ।
এর উদ্যোক্তা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম বলছে এটি বাস্তবায়িত হলে শহরের ভালো চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সহায়তা পাবে স্থানীয়রা।
সংস্থাটির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান শরত দাস জানান মূলত উচ্চ গতির ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্বীপের মানুষের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করবেন তারা।
তিনি বলেন দ্বীপগুলোতে সুযোগ সুবিধা খুব কম থাকে, আর সে কারণে মহেশখালীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষকে সুযোগ সুবিধা দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও ই-কমার্স এ তিনটি খাতে বিশেষভাবে দ্বীপবাসীকে সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক স্কুল আছে কিন্তু দ্বীপ হওয়ার কারণে যোগ্যতা সম্পন্ন লোকজন যেতে চায়না।
তাই সেখানে সেবার মান বাড়ানো হবে।
‘যেমন ধরুন ভালো মানের শিক্ষক নেই। এখন শহরের ভালো শিক্ষকদের দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হবে’।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মা ও শিশু মৃত্যুর হার একটু বেশি কারণ হলো ভালো চিকিৎসক যেতে চায়না।
তিনি জানান, এখন শহর থেকে চিকিৎসকরা ওখানকার রোগীদের রিপোর্ট দেখে সহায়তা দিতে পারবেন।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের পরিকল্পনা কোরিয়াতে সফল হয়েছে। এখন বাংলাদেশে সেটিই প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শরত দাস।
মহেশখালী থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে আর অবৈধ অভিভাসন বন্ধের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া যাবে বলে আইওএম সেখানে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: বিবিসি