মঙ্গলবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোনালদো।
২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ আসরের ফাইনালে আতলেতিকোকে হারিয়ে শিরোপা জিতে রিয়াল। মাঝে ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালেও দুই লেগ মিলিয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ১-০ গোলে হারায় তারা।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা চতুর্থবারের লড়াইয়েও প্রথম লেগ জিতে অনেকটাই এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে রিয়ালের শুরুটা হয় চমৎকার। গোল হতে পারতো সপ্তম মিনিটেই; কিন্তু ফাঁকা জালেও বল পাঠাতে ব্যর্থ হন করিম বেনজেমা। এর তিন মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। ডান দিক থেকে সের্হিও রামোসের ক্রস সাভিচ হেডে ফেরালেও পেয়ে যান কাসেমিরো। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের ফিরতি ক্রসে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
ষষ্ঠদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। টনি ক্রুসের কর্নারে জোরালো হেড করেছিলেন চোট কাটিয়ে ফেরা রাফায়েল ভারানে; কিন্তু দারুণ নৈপুণ্যে বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটেই সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় অতিথিরা। সাউলের দারুণ পাস ধরে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কেভিন গামেইরো; কিন্তু শট নিতে এক মুহূর্ত দেরি করে ফেলেন। সেই সুযোগে দ্রুত ছুটে এসে প্রতিহত করেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
বিরতির পর কিছুটা ধীর গতিতে চলতে থাকা ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে উত্তেজনা ফেরান রোনালদো।
বাঁ-দিক থেকে মার্সেলোর পাস বেনজেমা দারুণ দৃঢ়তায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা দিয়েগো গদিনকে এড়িয়ে রোনালদোকে বাড়ান। তাকে বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন ফিলিপে লুইস, কিন্তু পারেননি। ডি-বক্সের ঠিক মাথা থেকে উঁচু জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চারবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
আর ৮৬তম হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি জয় নিশ্চিত করে ফেলেন রোনালদো। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে জালে জড়ান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে আট গোল করলেন রোনালদো, আসরে তার মোট গোল হলো ১০টি। ১১ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে লিওনেল মেসি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে রোনালদোর মোট গোল ১০৩টি।
আগামী বুধবার আতলেতিকোর মাঠ ভিসেন্তে কালদেরনে হবে ফিরতি লেগ।