প্রতিনিধি : মাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলে এবার বড় ধস নেমেছে। এ বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৫৯ দশমিক ০৩ শতাংশ পাস করেছে, যেখানে গতবছর পাসের হার ছিল ৮৪ শতাংশ। সার্বিকভাবে এবার দশ বোর্ডে ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
আর কুমিল্লা বোর্ডের পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতবছর ৬ হাজার ৯৫৪ জন এ বোর্ড থেকে পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিল। এই ফলাফল প্রকাশ করে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, “এ ফলাফল নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে নজরদারি ছিল বেশি।
“তবে বিদ্যালয়ে টেস্ট পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করা শিক্ষার্থীদেরও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে বিদ্যালয়গুলো। ফলাফল খারাপ হওয়ার এটা একটা কারণ হতে পারে।”
তিনি বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে নজরদারি করা প্রযোজন, লোকবল সঙ্কটের কারণে তা হচ্ছে না। তবে যেসব বিদ্যালয় খারাপ করেছে তাদের ব্যাখা চাইবে বোর্ড।
কুমিল্লা বোর্ড
>> পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৯ জন।
>> পাস করেছে ১ লাখ ৮ হাজার ১১১ জন।
>> ফেল করেছে ৭৪ হাজার ৮৬৮ জন।
>> এর মধ্যে গণিতে ফেল করেছে ৩৪ হাজার ৬৮৯জন; ২৫ হাজার ৬০৬ জন ইংরেজিতে পাস করতে পারেনি।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, “গণিত ও ইংরেজির ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে কুমিল্লায়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আন্তরিকতারও অভাব রয়েছে।”
ভালো ফলাফলের জন্য ‘মনিটরিং’ জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ওপর জোর দেন তিনি।
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কেজি আহমেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৯ জন পরীক্ষার্থীর কেউ এবার পাস করতে পারেনি।
একই অবস্থা ওই উপজেলার পায়ের খোলা আর এম বিআর গার্লস হাই স্কুলের। সেখানে ৩২ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে এবার।
এ বোর্ডের ১৪টি বিদ্যালয়ের শতভাগ পরীক্ষার্থী এবার পাস করেছে।